‘মেরে পুঁতে দিয়েছি’, অভিযুক্তের স্বীকারোক্তির পর বাঁশবাগানে উদ্ধার নাবালিকার দেহ! কানাইপুর কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়

বাংলাহান্ট ডেস্ক : হুগলির (Hooghly) কানাইপুরের নাবালিকা নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মোড়। বৃহস্পতিবার দিনভর তল্লাশি চালানোর পর অবশেষে সন্ধ্যায় বাঁশবাগানে মিলল এক নাবালিকার দেহ। দুদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন বছর ১৩-র বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন কিশোরী। ৪৮ ঘন্টা পার হয়ে গেলেও তার খোঁজ মেলেনি। অবশেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যে দেহ উদ্ধার হয়েছে তা ওই নাবালিকারই কিনা তা জানতে ডাকা হয়েছে পরিবারের সদস্যদের।

হুগলির (Hooghly) ঘটনায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উদ্ধার নাবালিকার দেহ

বৃহস্পতিবার দিনভর নাবালিকার খোঁজে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। স্নিফার ডগ নিয়ে চালানো হয় তল্লাশি। এমনকি পুকুরেও তল্লাশি চালায় পুলিশ। শেষমেষ সন্ধ্যায় নাবালিকার বাড়ি থেকে প্রায় দু কিমি দূরে নপাড়া এলাকায় মেলে একটি দেহ। পুকুরপাড়ে বাঁশ বাগানের পেছনে ফাঁকা মাঠের মধ্যে দেহ পড়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা প্রথমে দেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানায়।

পরিবারকে ডাকা হয়েছে শনাক্তকরণের জন্য: প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি অনুযায়ী, বিবস্ত্র অবস্থায় উলটে পড়েছিল দেহটি। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। নাবালিকার দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে (Hooghly)। এদিকে অভিযোগ ওঠে, নাবালিকার দেহ দেখতে দেওয়া হয়নি তার পরিবারের সদস্যদের। এই অভিযোগে কানাইপুর ফাঁড়িতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন একদল বিক্ষুব্ধ জনতা। পরে অবশ্য জানা যায়, নাবালিকার পরিবারের তিনজন সদস্যকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দেহ শণাক্ত করার জন্য।

আরো পড়ুন : বড় সিদ্ধান্ত জি বাংলার, দর্শকদের দাবিতে রাতারাতি বদলে গেল এই সিরিয়ালের খলনায়িকা!

পলাতক অভিযুক্ত: গত মঙ্গলবার বিকেল চারটে থেকে নিখোঁজ ছিলেন কানাইপুর (Hooghly) কলোনির বাসিন্দা ওই নাবালিকা। অভিযোগ, প্রতিবেশী যুবক অসীম মজুমদার বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় ওই কিশোরীকে। তারপর থেকে আর কোনো খোঁজখবর মেলেনি তার। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই রাতেই চেপে ধরা হয়েছিল প্রতিবেশী যুবককে। একবার মদ্যপ অবস্থায় নাকি সে বলেও ফেলেছিল, কিশোরীকে মেরে পুঁতে দেওয়ার কথা। তবে তারপরেই গা ঢাকা ওই যুবক।

আরো পড়ুন : মা-বউ তুলে অশ্রাব্য গালিগালাজ বোলপুর IC-কে! অডিও ক্লিপ ভাইরাল হতে এবার সরাসরি অভিযোগ অনুব্রতর

চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার, ডিসিপি, এসিপি সহ পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা পৌঁছান ঘটনাস্থলে। পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি জানান, এই ঘটনায় খুন এবং ধর্ষণের মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।