বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অভিনেত্রী হিসেবে আকাশছোঁয়া সাফল্যের পর এবার নেত্রী হিসেবে হাজির হয়েছেন জনতার সামনে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে হুগলি কেন্দ্র থেকে ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Rachana Banerjee) দাঁড় করিয়েছে তৃণমূল শিবির। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে প্রচারপর্ব। এর ফাঁকে কখনও তাঁকে দেখা যাচ্ছে দই-য়ে মজতে, কখনও আবার ঘুগনি চেখে দেখছেন তিনি। সেই সঙ্গেই নিজের নানান মন্তব্যের সৌজন্যে উঠে আসছেন সংবাদের শিরোনামে।
সোমবার বলাগড়ের চন্দ্রহাটিতে নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন রচনা। সেখানে জীবনদায়ী ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে জোড়াফুল (TMC) প্রার্থীকে জিজ্ঞেস করা হয়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ওষুধ শুধু নয়, প্রত্যেকটি জিনিসের এখন দাম বাড়ছে। আগে ৫০০ টাকায় ব্যাগ ভর্তি বাজার করা যেত, এখন একটা ছোট প্যাকেট ভরে! মানুষের রোজনামচার জীবন চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রচনা বলেন, ‘আগে ডাল ছিল ৪০ টাকা, এখন সেটা হয়েছে ১৩০ টাকা। আদা ৫০ টাকা থেকে হয়েছে ১৫০ টাকা। পেট্রোল আগে ৭০ টাকায় বিক্রি হতো, এখন সেটার দাম ১২০ টাকা। কেরোসিন ৪০ টাকায় পাওয়া যেত, এখন হয়ে ১০০ টাকা’। তারকা হলেও বাজারদর সম্পর্কে রচনা যে ওয়াকিবহাল তা তাঁর কথা থেকেই পরিষ্কার।
আরও পড়ুনঃ বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে! ভোটের মুখে দল বদলাচ্ছেন বাংলার বিখ্যাত অভিনেত্রী? শোরগোল রাজ্যে
এরপর হুগলিতে তৃণমূল শিবিরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হয় জোড়াফুল প্রার্থীকে। উত্তরে তিনি বলেন, ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কোথায় নেই। প্রত্যেক জায়গাতেই কোনও না কোনও সমস্যা আছে। পরিবারের মধ্যেই কত রকম সমস্যা হয়। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সমস্যা, ননদ বৌদির মধ্যে সমস্যা। সব জায়গাতেই সমস্যা থাকে। এখানে এত বড় একটা দল। হাতের পাঁচটা আঙুল তো আর সমান হয় না’।
হুগলির তৃণমূল প্রার্থীর কথায়, সবার চিন্তা-ভাবনা একে অপরের থেকে আলাদা হয়। তবে হাতের পাঁচটা আঙুল মিলেই একটা মুঠি তৈরি হয়। আর সেই মুঠি তৈরি করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘হাতের চেটোটা তৃণমূল কংগ্রেস’, এই মন্তব্যও করেন রচনা।
এদিকে বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীও দলের অন্দরে চলতে থাকা দ্বন্দ্বের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সব দলেই থাকে। তৃণমূলেও রয়েছে। তবে তাঁদের উদ্দেশ্য হল বিজেপিতে পরাজিত করা! সেই লক্ষ্য পূরণ করতে ঝগড়া অশান্তি ভুলে তৃণমূলের সকলে এক হয়ে লড়াই করবেন বলে জানান তিনি।