বাংলাহান্ট ডেস্ক : টিনের ছাউনি দেয়া মাটির ঘরে বসবাস। গ্রামে ছোট্ট মুদিখানা দোকান থেকেই অভাব অনটনে সংসার চলে। কিন্তু স্বপ্ন পূরণ করতেই অমিতাভ বচ্চনের কৌন বনেগা ক্রোড়পতি রিয়ালিটি শো এর মঞ্চে পৌঁছে গিয়েছিলেন হুগলির (Hoogly) জয়ন্ত দুলে। শুধুমাত্র নিজের স্বপ্ন পূরণ নয়, গ্রামসহ নিজের পরিবারের অভাব অনটনের কথা তুলে ধরলেন কৌন বনেগা ক্রোড়পতি (KBC) রিয়ালিটি শো’র মঞ্চে।
হুগলির (Hoogly) যুবকের বেনজির কীর্তি
জয়ন্তর পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন বিগ বি। তবে জয়ন্ত নিজের চেষ্টায় জিতেছেন প্রায় সাড়ে ১২ লক্ষ টাকা। হুগলি (Hoogly) জেলার আরামবাগ মহকুমার গোঘাটের বেঙ্গাই অঞ্চলের মা ,বাবা ,বোনকে নিয়ে বসবাস জয়ন্তর। ছোট থেকে পড়ার সময় ভালো জয়ন্ত মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয়ার পর থেকেই অমিতাভের শোয়ে (Reality Show) অংশগ্রহণ করার জন্য প্রস্তুতি শুরু করেন। দীর্ঘ ৭ থেকে ৮ বছর পরিশ্রমের পর স্বপ্নের মঞ্চে পৌঁছান তিনি।
আরোও পড়ুন : অভিনয়ের জন্য ছেড়েছেন স্কুল! ১৫ বছর ধরে ফ্লপ, একটা সিনেমাই ভাগ্য বদলে দেয় এই ‘বলি সুন্দরী’র
১২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জিতে গ্রামে ফিরেছেন জয়ন্ত। সেদিন হুগলিতে (Hoogly) নিজের গ্রামের দুরবস্থার কথা তুলে ধরেছেন জয়ন্ত। গ্রামের মানুষ কুকুরের জল ব্যবহার করেন। শৌচালায় থাকলেও অভ্যাস করতে পারেনি বহু মানুষ। নিজের পরিবারের ক্ষেত্রেও মা আর বোনকে বাড়ির পাশে পুকুরে স্নান করতে হয় বলে জানান জয়ন্ত। তাই গ্রামের মানুষদের স্নানাগার ব্যবহার করার বার্তা দেন জয়ন্ত। নিজের বাড়ির কথা বলেন তিনি।
আরোও পড়ুন : বহুরুপীর প্রথম ঝলকেই মাত আবির-ঋতাভরীর, নজর কাড়লেন কৌশানিও
শৌচালয় থাকলেও তাঁদের কোনো স্নানাগার নেই। ফলে পুকুরেই সকলের সামনেই স্নান করে মা-বোন। এই শুনে জয়ন্ত বাড়িতে স্নানাগার তৈরি করে দেওয়ার আশ্বাস দিলেন অমিতাভ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন জয়ন্ত। বর্তমানে একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে পড়ান তিনি। হুগলির (Hoogly) জয়ন্ত বলেন, “ছোট থেকেই আমার কেসিবিতে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল। পড়াশোনার পাশাপাশি তার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করি।
হুগলির (Hoogly) এই যুবকের কথায়, “প্রথম থেকেই আমার ইচ্ছা ছিল এই রকম মঞ্চ পেলে সেখানে আমার গ্রামের সমস্যার কথা তুলে ধরব। গ্রামবাসীদের সচেতনতার অভাব রয়েছে তা বলার চেষ্টা করেছি। গ্রামের সম্যাসার পাশাপাশি পরিবারের স্নানাগার নেই তাও বলেছি। তা শুনে অমিতাভ স্যার বলেছেন আমি টাকা জিতি বা না জিতি তিনি বাড়িতে স্নানাগার তৈরি করে দেবেন।” শত অভাবের মাঝেও গ্রামের ছেলের কেবিসির মঞ্চে যাওয়ায় খুশির হাওয়া গ্রাম জুড়ে।