বাংলা হান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মৃত্যুপুরী চিন থেকে ৮ বিমানযাত্রীর বিষয়ে সতর্কতামূলক বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে । ২৩ জানুয়ারি চিনের কুমনিং থেকে বিমানটি কেরলে আসে । সেখানে কেরলের নভোল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত যুবক ছিলেন । সেই বিমানেই ৮ সহযাত্রী কলকাতায় নামেন । তাঁদের মধ্যে তিনজন চিনের নাগরিক এবং ৫ যাত্রী বাঙালি, তার মধ্যে একজন দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা ।
কলকাতার ওই বাসিন্দাকে আলাদাভাবে রাখা হয়েছে । রক্তের নমুনা ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে পুনের NIV –তে । জেলার আরেক যাত্রীকে বেলেঘাটা আইডিতে ভর্তি করা হয়েছে, সেই সঙ্গে আরও তিনজনকে চিহ্নিত করে বেলেঘাটা হাসপাতালে আনা হচ্ছে ।
কলকাতায় নভেল করনোনা ভাইরাস মোকাবিলায় শহরের হাসপাতাল ও কলকাতার ৬ মেডিক্যাল কলেজ ও স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে পৃথক আইসোলেসন ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । এদিকে আইডি হাসপাতালে চিকিত্সকের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে n95 মাস্ক ব্যবহার । আর হাসপাতালে মাস্ক ব্যবহার করতেই হবে ।
প্রসঙ্গত , করোনা ভাইরাসের আঁতুরঘর থেকে বাঁচাতে রবিবার ভোর ৩.১০ নাগাদ এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে ভারতে ফেরত আনা হয় ৩৩০ জনকে । সকাল ৯.৪৫ নাগাদ রবিবার ইন্দিরা গান্ধী বিমান বন্দরে পৌঁছয় বিমানটি। বিদেশমন্ত্রকের ট্যুইটে এই তথ্য জানা গিয়েছে ।
এমনকি মালদ্বীপের নাগরিকদেরও করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচাতে উদ্ধার করা হয়েছে । তার জন্য সে দেশের তরফে ভারতকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে । সে দেশের বিদেশমন্ত্রী আবদুল্লা শাহি জানিয়েছেন ৭ জন মালদ্বীপের নাগরিককে উদ্ধার করেছে ভারত সরকার ।