বাংলাহান্ট ডেস্ক : বকেয়া টাকা না মিললে আর দেওয়া সম্ভব হবে না স্বাস্থ্যসাথী পরিষেবা। এবার নবান্নকে একত্রে একথা সাফ জানিয়ে দিল রাজ্যের ২০টি বেসরকারি হাসপাতাল। কথা ছিল বিল জমা দেওয়ার ২০ দিনের মধ্যেই টাকা মেটাবে রাজ্য সরকার। কিন্তু রাখা হয়নি সে কথা। ২০ দিন কেন, ৩ মাস পেরোলেও পেলেনি একটা ফুটো কড়ি। বিলের বোঝা বাড়তে বাড়তে বেসরকারি হাসপাতাল গুলোর সরকারের কাছে পাওনা প্রায় ২০০ কোটি টাকা। তাই এবার যে আর ‘সম্ভব নয়’ তা সাফ জানিয়ে দিল বেসরকারি হাসপাতালের একটি সংগঠন।
২০টি বেসরকারি হাসপাতালের ওই সংগঠন স্বাস্থ্য দপ্তরে চিঠি লিখে জানিয়েছে যে ২০০ কোটি টাকার ওই বিল আগে মেটানো না হলে স্বাস্থ্য সাথী পরিষেবা আর দেওয়া হবে না সেখানে। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যসাথীর প্যাকেজের দাম বৃদ্ধির দাবিও তোলা হয়েছে। ওই বিল মেটানোর জন্য সরকারকে নির্দিষ্ট সময়ও বেঁধে দিয়েছে হাসপাতাল গুলি। ২০ দিনের মধ্যেই বকেয়া টাকা ফেরাতে হবে সরকারকে।
হাসপাতাল গুলির দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে চুক্তি হওয়ার কারণেই এতদিন মানুষকে পরিষেবা দিয়ে আসা হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই একটা টাকাও দেওয়া হয়নি সরকারের তরফ থেকে। একই সঙ্গে কোভিডের আগের সময়ের নির্ধারিত প্যাকেজে কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতিতে পরিষেবা দেওয়াও সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমানে নিজেদের ব্যবসায়িক মূলধনকেও অবধি ঝুঁকির মুখে ফেলতে হচ্ছে বেশ কয়েকটি হাসপাতালকে।
এই ব্যাপারে অবশ্য সরাসরি কোনও প্রতিক্রিয়াই জানানো হয়নি স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে। তবে সূত্রের দাবি যে, ২০ দিনের মধ্যে না হলেও প্রতিবার ৩০ দিনের মধ্যে মিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে টাকা। উক্ত দপ্তরের একাংশের দাবি, রাজ্যকে চাপে ফেলতেই এই কাজ করছে হাসপাতালগুলি। এমনকি ২০০ কোটি টাকা বকেয়ার ব্যাপারটিও ভুয়ো বলেই দাবি করা হয়েছে। মার্চের ১৭ তারিখের মধ্যেই হাসপাতালগুলি বেশ কিছুটা করে টাকা পেয়েছে বলেই দাবি স্বাস্থ্য দপ্তরের।