জম্মু-কাশ্মীরে ৪ ই আগস্ট রাত ১১ থেকে মুভমেন্ট চরমে। যদিও ৩ আগস্ট থেকেই অনেক একশন নেওয়া শুরু হয়ে গেছে যেমন অমরনাথ যাত্রী, টুরিস্ট, পর্যটক, পড়ুয়া এদের কাশ্মীর দিয়ে বার করে সুরক্ষিত জায়গায় পৌঁছেছে সেনা। তবে গতকাল রাত ১১ টার সময় থেকে একশন চরমে। ঘটনাক্রম ইশারা করছে যে ৫ আগস্ট মোদি সরকার কাশ্মীরকে নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নেবেন। ১১ টার সময় পর দিয়ে জম্মু কাশ্মীরে ইন্টারনেট ও মোবাইল বন্ধ। আর সাথেই কট্টরপন্থী নেতাদের হাউস এরেস্ট করেছে সেনা।
গৃহবন্দি হওয়া কাশ্মীরের কট্টরপন্থী নেতাদের মধ্যে মেহবুবা মুফতি ও উমার আব্দুল্লা দুজনেই আছেন। এছাড়া শ্রীনগর ও আসেপাশের এলাকায় লাগু রয়েছে ধারা 144 । শ্রীনগর ও আসেপাশের এলাকায় কাউকেই কোনো প্রকারের প্রদর্শনের অনুমতি দেওয়া হবে না। পুরো জম্মু কাশ্মীরে সব স্কুল, কলেজ ও সংস্থানকে বন্ধ। সরকারের পরবর্তী আদেশ যতক্ষণ না আসছে ততক্ষণ সব বন্ধ থাকবে। এছাড়া জম্মু কাশ্মীরের রাস্তায় সেনারা মার্চ শুরু করে দিয়েছে। আর তাদের এই লাইনটি অনেক কিলোমিটার লম্বা। রাত ১১ তার পর কার্য গতি ধরেছে আর ১১ তার পর উমর আব্দুল্লা সবার আগে বলেছেন “আমাকে ঘরে বন্ধি করে দেওয়া হয়েছে- আল্লাহ আমাকে রক্ষা করো”, মেহেবুবা মুফতির মুখেও একই কথা।
৫ আগস্টের সকালে অর্থাৎ আজ ৯ টা বেজে ৩০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদি ক্যাবিনেটের ক্রুসিয়াল বৈঠক করবেন। জম্মু কাশ্মীরে বেশকিছু দিন ধরে অনেক কিছু একশন নেওয়া হচ্ছে, সৈনিকদের মুভমেন্ট ,LOC তে বোফোর্স পোস্ট করা, সীজফায়ারের নিয়ম ভাঙ্গায় পাকিস্তানের উপর বোমা বর্ষণ ও কয়েকজন জঙ্গির হত্যা, যা দিয়ে বোঝা যাচ্ছে যে কিছু বড় হতে চলেছে। এছাড়া কালও অর্থাৎ ৪ আগস্ট অনেক মিটিং হয়, আজও হওয়ার কথা আছে এবং বড়ো খবর আসার অনুমান করা হচ্ছে।