দ্বিতীয় স্বামীতেও হলো না! শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার নামে পগারপার নদিয়ার গৃহবধূ

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাপের বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়ি ফেরার সময় সন্তান সহ উধাও এক গৃহবধূ। কোথাও খুঁজে না পেয়ে অবশেষে স্ত্রীকে ফিরে পাওয়ার আশায় পুলিশের দ্বারস্থ স্বামী। নিখোঁজ গৃহবধুর নাম জয়িতা দেবনাথ। নদীয়ার (Nadia) শান্তিপুরের সূত্রাগড় অঞ্চলের চুনুরি পাড়া লেনের ২৩ বছর বয়সী জয়িতার বিয়ে হয় পূর্বস্থলী থানা এলাকার বাসিন্দা লক্ষণ দেবনাথের সাথে।

যদিও তার আগে এই দুজনেরই একবার বিয়ে হয়েছিল। পরবর্তীকালে সেই বিয়ে (Marriage) ভেঙে যাওয়ায় দুই পরিবারের সম্বন্ধ করে বিয়ে হয় জয়িতা ও লক্ষণের। আগের পক্ষে এক পুত্র সন্তান রয়েছে জয়িতার। জয়িতার স্বামী লক্ষণ দেবনাথ জানিয়েছেন, আগের পক্ষের পুত্র সন্তানকে নিয়েই তার সাথে ঘর করতেন জয়িতা। কাজের সূত্রে তিনি থাকেন ভিন রাজ্যে।

কয়েকদিন আগে জয়িতা তার বাপের বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিল। গত মঙ্গলবার সকাল আটটা নাগাদ শশুর বাড়ি যাওয়ার নাম করে সন্তান সহ জয়িতা বেরিয়ে যায় বাপের বাড়ি থেকে। পরবর্তীতে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও শ্বশুরবাড়ি না পৌঁছানোয় লক্ষণবাবু যোগাযোগ করেন জয়িতার বাপের বাড়ির লোকেদের সাথে।

স্ত্রীর সন্ধান না পেয়ে লক্ষণ বাবু তার শ্বশুর বাড়ি শান্তিপুরে ছুটে যান। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত খোঁজাখুঁজির পরেও জয়িতার সন্ধান না পেয়ে লক্ষণবাবু দারস্থ হন পুলিশের। নিখোঁজ ডায়রি করেন শান্তিপুর থানায়। জয়িতার স্বামী লক্ষণ দেবনাথ বলেছেন, তার স্ত্রী অধিকাংশ সময় ফোনে ব্যস্ত থাকত।

Nadia

 

তবে অন্য কারোর সাথে তিনি সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন কিনা সেই বিষয়ে জানার চেষ্টা করেননি। বাপের বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়ি ফেরার সময় এভাবে তার স্ত্রী উধাও হয়ে যাবেন তা তিনি ভাবতেও পারেননি। পুলিশের কাছে লক্ষণ বাবু আর্জি করেন, যেমন করেই হোক জয়িতাকে যেন পুলিশ উদ্ধার করে। নয়তো তার সংসার শেষ হয়ে যাবে। অভিযোগ পাওয়ার পর ইতিমধ্যেই শান্তিপুর থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর