বাংলায় কথা বলেই কেল্লাফতে! ঠিক কীভাবে জামিন পেয়েছেন অনুব্রত? জানলে মাথা ঘুরে যাবে

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একে একে সব অভিযুক্তরা জেলের চার দেওয়ালের বাইরে। আগেই গরু পাচার মামলায় ছাড়া পেয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের সিএ মনীশ কোঠারি, অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল। আর এবার জেলমুক্তি হল খোদ বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)। যাকে গরু পাচার মামলার মূল অভিযুক্ত বলে দাবি করেছিল সিবিআই। শুক্রবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট থেকে গরু পাচার মামলায় ১০ লক্ষ টাকার বন্ডে তার জামিন মঞ্জুর হয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠছে কিভাবে গরু পাচার মামলার অভিযুক্তরা কীভাবে একে একে ছাড়া পেয়ে যাচ্ছেন?

আগেই জমা পড়েছে চার্জশিট। তবে তার পরও কেন এত দেরী হচ্ছে? এই নিয়ে চৰ্চা চলছে বিভিন্ন মহলে। সূত্রের খবর, ভাষার গেরোতেই আটকে যাচ্ছে গোটা বিচার প্রক্রিয়া। ঠিক কীভাবে জামিন পেলেন অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট? অনুব্রতর আইনজীবী শাম্ব নন্দী এই বিষয়ে বলেন, গরু পাচার মামলায় চারটি চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। তবে গরু পাচার থেকে আর্থিক সুবিধা অনুব্রত পেতেন, এমন কোনও উল্লেখ নেই চার্জশিটে। তথ্য-প্রমাণও নেই। সেই কারণেই দিল্লি হাইকোর্ট তার জামিন মঞ্জুর করেছে।

আইনজীবীর কথায়, ভাষার গেরোই বিচার প্রক্রিয়ায় এত দেরি হচ্ছে। এই সেই ভাষার গেরোর জেরেই গরু পাচার মামলায় একের পর এক অভিযুক্তর জেলমুক্তি।গরু পাচার মামলায় এ রাজ্য থেকে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাদের অধিকাংশই বাংলা বাদে অন্য কোনও ভাষা জানেন না।

জানা যাচ্ছে, অনুব্রত-সুকন্যাদের বয়ান বাংলাতেই রেকর্ড করা হয়েছে। আর সেই নিয়েই বেকায়দায় পড়ছে ইডি। হাজার হাজার পাতার বয়ান বাংলা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করা কম কথা নয়। প্রচুর সময় দরকার তার জন্য। এখনও সমস্ত বয়ান অনুবাদ করা সম্ভব হয়নি। ফলে বয়ানের কপি এখনও পর্যন্ত হাতে না আসায় মূল মামলার ট্রায়াল শুরু করা যাচ্ছে না।

anubrata 5

আরও পড়ুন: আরজি করের প্রতিবাদে যাওয়ার জের? প্রাক্তন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ছাত্রীদের ‘ঘাড় ধাক্কা’ দেওয়ার অভিযোগ

অনুব্রত যে বাংলা ছাড়া কিছুই বোঝেননা সেকথা নিজেই তিহাড়ে যাওয়ার পর জানিয়েছিলেন তিনি। অনুব্রত জেরায় বহুবার জানিয়েছেন তিনি বাংলা ছাড়া কোনো ভাষাই বলতে বা লিখতে পারেন না। এরপরই বাংলা জানা বিশেষ অফিসারকে শুধুমাত্র বয়ান নথিবদ্ধ করার জন্য রাখা হয়েছিল ইডি তরফে।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর