বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলকে (Ayan Shil) গ্রেফতারির পর এবার লাইমলাইটে রহস্যময়ী নারী। হুগলির প্রমোটার অয়ন ঘনিষ্ঠ শ্বেতা চক্রবর্তী (Sweta Chakraborty) এবার ইডির আতস কাচের নীচে। উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটি পুরসভার উল্টোদিকে জগন্নাথ নিকেতনে অয়ন-শ্বেতার একটি ফ্ল্যাট রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। সেখানেই থাকতেন দুজনে।
শনিবার অয়নের সল্টলেকের ভাড়া বাড়িতে ম্যারাথন তল্লাশি চালায় ইডি (ED)। এরপরেই গ্রেফতার করা হয় তাকে। জানা গিয়েছে, অয়নের বাড়িতে ইডি পৌঁছনোর ঠিক আগের দিন, অর্থাৎ শুক্রবারই তার বান্ধবী তাকে একটি মেসেজ (Message) পাঠায়। অয়নকে সতর্ক করে সেই মেসেজটি করা হয়েছিল। আর এখানেই দানা বাঁধছে রহস্য।
অয়নের বান্ধবীর কাছে কীভাবে আগে থেকে ইডি অভিযানের খবর পৌঁছে গেল? সেই নিয়েও ইডির অন্দরে উঠছে প্রশ্ন। প্রসঙ্গত, ইডি অয়ন ও তার বান্ধবীর একটি চ্যাটের নাগাল পেয়েছে বলে সূত্রের খবর। যেখানে দেখা যাচ্ছে তার বান্ধবী অয়নকে সতর্কবার্তায় লিখেছেন, “ইডি রেইড করতে পারে, জিনিসপত্র সরাও। পালিয়ে যাও।” এখানেই ধন্দ।
তবে কী কোনওভাবে কি ইডির অন্দরমহলের সাথেও অয়নের বান্ধবীর কোনওরকম যোগাযোগ রয়েছে? কে দিচ্ছে তাকে ইডির ‘হাঁড়ির খবর’? নাকি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত বলে অয়নকে নিছক আন্দাজের ভিত্তিতেই সর্তর্ক করেছিলেন সেই বান্ধবী! এইসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেতে তদন্তে নেমেছে ইডি। ইডি সূত্রে খবর ইতিমধ্যেই এই নিয়ে অয়নকে বহুবার প্রশ্ন করা হয়েছে, তবে অয়ন সেই সব প্রশ্নের কোনো উত্তর দেয়নি বলেই জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, সূত্রের খবর, পেশায় মডেল শ্বেতা কামারহাটি পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারও। পূর্বেই ইডি দাবি করেছিল অয়নের ফ্ল্যাটে ও অফিসে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে নারী যোগ উঠে এসেছে। সেই ঘটনার তদন্তে নেমেই মিলেছে শ্বেতা চক্রবর্তীর নাম। জানা গিয়েছে, সল্টলেকে অয়নের অফিস থেকে উদ্ধার করা অ্যাকাউন্টের নথিতে এই শ্বেতা চক্রবর্তীর নাম রয়েছে। নৈহাটির বাসিন্দা এই শ্বেতা চক্রবর্তীর সঙ্গে ধৃত প্রোমোটার অয়ন শীলের বিপুল পরিমান লেনদেনের হদিশ মিলেছে। শ্বেতার গাড়ির নথিও নাকি অয়নের অফিস থেকে মিলেছে। অয়নের অ্যাকাউন্ট থেকে এই যুবতীর অ্যাকাউন্টে লক্ষ লক্ষ টাকা লেনদেন হয়েছে বলে জানিয়েছে তদন্তকারী আধিকারিকরা।