বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ২০২১-এ বেশকিছু খারাপ ঘটনার মধ্যে দেশ এক গভীর শোকের শোকাহত হয়েছিল। এক দুর্ঘটনায় প্রয়াত হন দেশের চীফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত (Bipin Rawat) এবং তাঁর স্ত্রী মধুলিকা রাওয়াত সহ মোট ১৩ জন। ভারতীয় বায়ুসেনার নির্ভরযোগ্য ও নবীনতম সদস্য Mi-17V5 হেলিকপ্টার চড়ে আকাশপথে যাওয়ার পথেই ঘটে যায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
কিন্তু কিভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল তা নিয়ে এতদিন যাবৎ তদন্ত করছিল এয়ার মার্শাল মানবেন্দ্র সিং-এর নেতৃত্বে ট্রাই সার্ভিস ইনকোয়ারি টিম। এয়ার মার্শাল মানবেন্দ্র সিং হলেন ভারতীয় বিমান বাহিনীর ট্রেনিং কমান্ডের কমান্ডার এবং একজন হেলিকপ্টার পাইলট। তাঁর নেতৃত্বেই দুর্ঘটনার তদন্ত শেষ করে রিপোর্ট আইনি পর্যালোচনার জন্য পাঠানো হয়েছে। এরপর সেই রিপোর্ট সরকারের কাছে পাঠানো হবে। এতে করে ১০-১৫ দিন সময় লেগে যেতে পারে।
কিছুদিন আগে বিপিন রাওয়াতের প্রয়াণে তাঁর শূণ্যস্থান পূরণ করা নিয়ে নিরাপত্তা সংক্রান্ত মন্ত্রি গোষ্ঠীর বৈঠক বসেছিল ৭ লোক কল্যাণ মার্গে অবস্থিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনে। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন, কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালও।
ধারণা করা হচ্ছে, ভারতের তিন বাহিনীর সেনা প্রধানদের মধ্যে ভারতীয় সেনা প্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাভানে বর্তমানে বয়োজ্যেষ্ঠ। তাই এই পদের জন্য তাঁর দিকেই পাল্লা ভারী রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু আবার এটাও শোনা যাচ্ছে, বিপিন রাওয়াতকে যখন চীফ অফ ডিফেন্স স্টাফ পদে নিযুক্ত করা হয়েছিল, তখন তাঁর থেকেও বয়োজ্যেষ্ঠ ২ জন আধিকারিক ছিলেন সেনাবাহিনীতে।
তবে যদি এখন মনোজ মুকুন্দ নারাভানেকে সিডিএস পদ দিয়ে দেওয়া হয় তাহলে, সেনা প্রধানের পদ আবার ফাঁকা থেকে যাবে। সেক্ষেত্রে সেখানেও একজন নতুন আধিকারিককে নিযুক্ত করতে হবে।