বাংলাহান্ট ডেস্ক: রামায়ণ এবং মহাভারত (Mahabharat), হিন্দু ধর্মের দুই মহাকাব্য বইয়ের পাতা থেকে তুলে পর্দায় আনা হয়েছে বহুবার। বিশেষ করে টেলিভিশনে অনেক বার তৈরি হয়েছে মহাভারত। কিন্তু নিত্য নতুন যতই শো বানানো হোক না কেন, বি আর চোপড়ার মহাভারত এখনো আইকনিক হয়ে রয়েছে দর্শক মহলে। আর সেই শোয়ের মাধ্যমেই জনপ্রিয়তার চূড়ায় ওঠেন নীতিশ ভরদ্বাজ (Nitish Bharadwaj)।
শ্রীকৃষ্ণের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন নীতিশ। এ যাবৎ যতজন পর্দায় শ্রীকৃষ্ণ হয়েছেন তাদের মধ্যে থেকে নীতিশ নিঃসন্দেহে সবথেকে জনপ্রিয়। কানহাইয়ার চরিত্রে তাঁর অভিনয় পাকাপাকিভাবে দর্শকদের মনে গেঁথে রয়েছে। এখনো শ্রীকৃষ্ণ বলতেই সর্ব প্রথমে উঠে আসে নীতিশ ভরদ্বাজের নাম। তবে জানেন কি একটুর জন্য এই আইকনিক চরিত্রটি হাতছাড়া হয়ে যেত তাঁর?
বি আর চোপড়ার মহাভারতে শ্রীকৃষ্ণ হয়েছিলেন নীতিশ। কিন্তু প্রথমে এই পৌরাণিক চরিত্রে অভিনয় করতে ইতস্তত করছিলেন তিনি। সঙ্কোচ হচ্ছিল তাঁর এই চরিত্রটির জন্য হ্যাঁ বলতে। শেষমেষ কীভাবে কাটল তাঁর জড়তা? এর নেপথ্যে রয়েছে এক মজার কাহিনি।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, নীতিশের সঙ্কোচ কাটাতে উদ্যোগ নিয়েছিলেন বি আর চোপড়া নিজেই। একদিন গোটা টিমের জন্য চা আর শিঙারা নিয়ে আসেন তিনি। কচুরি, শিঙারা নীতিশের প্রিয় খাবারের মধ্যে অন্যতম ছিল। সেটা মাথায় রেখেই প্ল্যান করেছিলেন চোপড়া।
তাঁর পরিকল্পনা মতোই কাজ হয়। চা শিঙারা খেতে খেতে অনেকটাই সহজ হয়ে ওঠেন নীতিশ। সুযোগ বুঝে তাঁকে কৃষ্ণ চরিত্রটির ব্যাপারে বোঝানো হয়। রাজিও হয়ে যান নীতিশ। পরবর্তীকালে তাঁর বাবা মাও তাঁকে পরামর্শ দেন এমন একটি চরিত্র হাতছাড়া না করতে। করেনওনি তিনি। টেলিভিশনে রচিত হয়েছিল ইতিহাস।
এক সাক্ষাৎকারে নীতিশ জানিয়েছিলেন, সে সময়ে প্রায় ৯ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি হয়েছিল মহাভারত। শুধু টাকা নয়, পরিশ্রমও করেছিলেন সকলে। সব সদস্যই ১৪-১৬ ঘন্টা করে কাজ করতেন দিনে। সপ্তাহে রবিবার ছুটি পেতেন সকলে। পরবর্তীতে বি আর চোপড়ার অন্য সিরিয়াল বিষ্ণু পুরাণেও শ্রীকৃষ্ণের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন নীতিশ ভরদ্বাজ।