বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে ভারত (India) এবং পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। শুধু তাই নয়, একটা সময়ে রীতিমতো যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি শুরু হয়েছিল। ঠিক এই আবহেই সম্প্রতি আমেরিকার উপরাষ্ট্রপতি জেডি ভ্যান্স জানিয়েছিলেন যে ভারত পাকিস্তান যুদ্ধে আমেরিকা হস্তক্ষেপ করবে না। যদিও, পরবর্তীকালে দেখা যায় যে দুই দেশের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা বৃদ্ধির সাথে সাথে আমেরিকা সেই হস্তক্ষেপ করেই ফেলে। এমতাবস্থায়, আমেরিকার উপরাষ্ট্রপতির ওই প্রতিক্রিয়ার পরেই যুদ্ধবিরতির প্রসঙ্গে ট্রাম্পের বার্তা সামনে আসার পরেই বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। পাশাপাশি এই প্রশ্নও উঠতে থাকে যে, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে আমেরিকা কেন হস্তক্ষেপ করল? এছাড়াও, কেন ভারতকে ফোন করে সংঘর্ষবিরতির প্রস্তাব দিল খোদ পাকিস্তান?
কেন পাকিস্তানের কাছে মাথা নত করল ভারত (India):
সম্প্রতি এমন একটি তথ্য সামনে এসেছে যেটির পরিপ্রেক্ষিতে উপরিউক্ত প্রশ্নগুলির উত্তর হয়তো মিলতে পারে। জানা গিয়েছে ভারতের (India) প্রত্যাঘাতের পরবর্তী লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানের পরমাণু ঘাঁটি। গত ৯ মে থেকে ১০ মে সকাল পর্যন্ত ভারত পাক বিমান ঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্য করে যোগ্য জবাব দিতে থাকে। যার পরিপ্রেক্ষিতে রাওয়ালপিন্ডির কাছে চাকলা এবং পাঞ্জাব প্রদেশের সারগোধা বিমান ঘাঁটি ধ্বংস হয়ে যায়।
এছাড়াও জ্যাকোবাবাদ থেকে শুরু করে ভোলারি, এবং স্কার্দুতেও হামলা চালানো হয়। তারপরই পাকিস্তান অনুধাবন করতে পারে যে ভারতকে (India) পরমাণু হামলার হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরে সেই পরমাণু কেন্দ্রকেই নিশানা করবে ভারতীয় সেনা। আর তেমনটা হলে পরিস্থিতিতে অত্যন্ত ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করবে তা অনুধাবন করতে পারে পড়শি দেশ। আর সেই কারণেই তড়িঘড়ি তারা আমেরিকার কাছে বিষয়টির মধ্যস্থতার জন্য আর্জি জানায়।
আরও পড়ুন: ভারতের দাপটেই কুপোকাত পাকিস্তান! কীভাবে সফল হল “অপারেশন সিঁদুর”, ব্যাখ্যা করল ভারতীয় সেনা
ইতিমধ্যেই সরকারি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, পাক সরকারের তরফে আমেরিকাকে বলা হয় পাকিস্তানের ওই পরমাণু কেন্দ্রে যদি ভারত (India) হামলা চালায় সেক্ষেত্রে জঙ্গিদের কাছে পরমাণু সংক্রান্ত গোপন তথ্য চলে যেতে পারে। যেটি সমগ্র বিশ্বের জন্য একটি বড় ঝুঁকি হয়ে উঠবে। পাশাপাশি পাকিস্তান এটাও জানিয়ে দেয় যে আমেরিকা এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করলে এর কোনও দায় তারা নেবে না। আর তারপরেই নিরপেক্ষ অবস্থান অবলম্বন করে ইসলামাবাদকে হটলাইন ব্যবহার করে ভারতকে যুদ্ধ থামানোর অনুরোধ করতে বলে আমেরিকা। ওই নির্দেশ মেনে নিয়েই পাকিস্তানের DGMO মেজর জেনারেল কাসিফ আবদুল্লা ভারতের DGMO লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাইকে ফোন করেন।
আরও পড়ুন: ফিরে আসুন…! বিদেশি খেলোয়াড়দের জন্য ফরমান জারি করল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি, শীঘ্রই শুরু হবে IPL
আর তারপরেই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব সামনে আশায় তা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন ভারতের (India) বিদেশসচিব বিক্রম মিসরি। শুধু তাই নয়, আগামী ১২ মে দুপুর ১২ টায় এই দুই দেশের DGMO-র মধ্যে একটি বৈঠক সম্পন্ন হতে চলেছে। এদিকে, এই যুদ্ধবিরতির প্রসঙ্গে নানান প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। পাশাপাশি রাজনৈতিক দিক থেকেও শুরু হয়ে যায় সমালোচনা। এদিকে, এই যুদ্ধ বিরতির মাত্র ঘন্টা তিনেকের পরেই তা লঙ্ঘন করে ফেলে পাকিস্তান। এরপরই DGMO লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই রবিবারের সাংবাদিক বৈঠকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “রবিবার রাতে বা আগামীকালের বৈঠকের আগে যদি ফের এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি পাকিস্তান ঘটায় সেক্ষেত্রে আমাদের সেনা কমান্ডারদের তা প্রতিহত করার জন্য পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়া রয়েছে।”
দেখুন গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও: