বাংলাহান্ট ডেস্ক : বর্তমান পৃথিবীতে ভোগের ও বিলাসিতার শেষ নেই। তবে নিজেদের ইচ্ছামত ভোগ পণ্য কেনার সামর্থ্য সবার থাকে না। বাড়ি, গাড়ি থেকে শুরু করে ইলেকট্রনিক্স গেজেট, আজকাল বহু মানুষ কেনাকাটার জন্য ভরসা রাখেন লোনের উপর। তবে লোন নিলেই তো হল না, সময়মতো লোনের কিস্তি পরিশোধ করতে হয়।
যদি সময় মতো লোনের কিস্তি পরিশোধ না করা হয় তাহলে অনেক রকম সমস্যা আসে লোন গ্রহীতার জীবনে। এর মধ্যে অন্যতম একটি বড় সমস্যা হল সিবিল স্কোরের উপর প্রভাব। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ইএমআই জমা না দিলে জরিমানা ধার্য করা হয়। এছাড়াও ব্যাংক বা লোন প্রদানকারী সংস্থার পক্ষ থেকে আসে চাপ।
আরোও পড়ুন : SBI-র ছুটির নিয়মে বড় বদল! এবার থেকে রবিবারের পরিবর্তে এইদিন বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক
যদি এমন কখনো হয় যে ক্রমাগত ইএমআই বাউন্স হচ্ছে, তাহলে বিশেষ চিন্তার প্রয়োজন নেই। চারটি এমন গুরুত্বপূর্ণ অবস্থা রয়েছে যেটি অবলম্বন করলে আপনারা এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এর ফলে সিবিল স্কোরের উপর প্রভাব পড়ে না, ভবিষ্যতের সমস্যা থেকেও কিছুটা হলেও নিস্তার পাওয়া যায়।
• ব্যাংক ম্যানেজারের সাথে আলোচনা: অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক ম্যানেজার এ কে মিশ্র এই বিষয়ে জানিয়েছেন, যদি কোনও কারণ ইএমআই বাউন্স হয় তাহলে গ্রাহককে প্রথমে ব্রাঞ্চে যেতে হবে। ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের সাথে কথা বলে বিস্তারিত জানাতে হবে। তাঁকে আশ্বাস দিতে হবে যে ভবিষ্যতে এমন ধরনের ঘটনা ঘটবে না। সেক্ষেত্রে ব্যাংকের তরফ থেকে জরিমানা ধার্য করা হলেও সেটি অনেকটাই কম হবে।
আরোও পড়ুন : ক্যাম্পার পর এবার এলিফ্যান্ট, কোক-পেপসিকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে মুকেশ আম্বানির নতুন পানীয়
• সিবিল স্কোর সম্পর্কে ব্যাংক ম্যানেজারের সাথে আলাপ আলোচনা: টানা তিন মাস ইএমআই বাউন্স হলে তার ব্যাপক প্রভাব পড়ে সিবিল স্কোরের উপর। তিন মাস ইএমআই বাউন্স হলে ব্যাংক ম্যানেজার তার রিপোর্ট পাঠান। যদি সেক্ষেত্রে কেউ একটি বা দুটি ইএমআই বাউন্স করেন, তাহলে ব্যাংক ম্যানেজারের কাছে অনুরোধ করতে পারেন যে নেতিবাচক রিপোর্ট যেন সিবিলে না পাঠানো হয়।
EMI আটকে রাখার আবেদন: গ্রাহক যদি একান্তই ইএমআই দিতে অক্ষম হন, তাহলে ব্যাংকের কাছে অনুরোধ করতে হবে কিছু সময়ের জন্য।
বকেয়া EMI বিকল্প: অনেক সময় গ্রাহকদের বকেয়া ইএমআই পরিশোধ করার সুযোগ দেওয়া হয়। যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ইএমআই শোধ করতে না পারেন, তাহলে মাসের শুরুতে কিছুটা বকেয়া ইএমআই দিয়ে রাখতে পারেন।