বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা আবহে গতবছর থেকেই বন্ধ রয়েছে স্কুল কলেজ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও, ভার্চুয়াল মাধ্যমে জারি রয়েছে পঠনপাঠান। কিন্তু বছর ঘুরে আবারও সময় হয়ে গেল মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক সহ প্রবেশিকা পরীক্ষার। এই করোনা আবহে কি হতে চলেছে ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ, তা নিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্কর সঙ্গে বৈঠকে হাজির ছিলেন সমস্ত রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী এবং শিক্ষাসচিবরা।
প্রধানত, দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষার উপর নির্ভর করেই ডাক্তারি ও ইঞ্জিনিয়ারিং-সহ পড়ুয়াদের উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন কোর্সে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায় ছাত্রছাত্রীরা। তাই শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে পরীক্ষা বাতিল না করে, পরে নেওয়ার আর্জি জানিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ককে একটি চিঠি লিখেছিল সিবিএসই বোর্ড। এরপরই এই বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়।
রবিবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে আয়োজিত এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংও। কিন্তু বৈঠকেও কোন চূড়ান্ত সমাধান সূত্র বের করা যায় নি। পরবর্তী বৈঠকের দিন নির্ধারিত হয় ৩০ শে মে। এই সময়ের মধ্যে রাজ্যের মতামত লিখিত আকারে জমা দিতে বলা হয়েছে।
সূত্রের খবর, বৈঠকে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া না হলেও, বেশ কয়েকটি বিষয় উঠে আসে সেখানে। বেশকিছু রাজ্য পরীক্ষা স্থগিত রেখে পরবর্তীতে নেওয়ার পক্ষে মত দিলেও, দিল্লী, মহারাষ্ট্র সরকারের মত অন্তর্বর্তী মূল্যায়নের মাধ্যমেই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হোক।
এই বৈঠকে রাজ্যগুলোর কাছে পরীক্ষার দুটি পদ্ধতির প্রস্তাব রেখেছে কেন্দ্র। এক- পুরনো পরীক্ষার নিয়ম মেনেই নির্দিষ্ট কয়েকটি বিষয়ের মধ্যে পরীক্ষা নেওয়া হবে। দুই- তিন ঘণ্টার পরিবর্তে নিজের স্কুলেই পরীক্ষা হবে দেড় ঘণ্টার। ‘অবজেকটিভ’ বা MCQ অর্থাৎ ছোট প্রশ্ন থাকবে প্রশ্নপত্রে। এই প্রস্তাব দেওয়ার পর রাজ্যগুলোকে দুদিনের মধ্যে লিখিত মতামত জানানোর কথা বলা হয়েছে। সঙ্গে আরও জানানো হয়েছে, প্রয়োজনে জুলাই মাসে কিংবা আরও পিছিয়ে যেতে পারে পরীক্ষা। তবে এই বৈঠকে বাংলার শিক্ষামন্ত্রী বাত্য বসুর বদলে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাসচিব মনীশ জৈন।