বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘এটা কীভাবে হয়! আমি হতভম্ব!’ অভিযুক্তরা জামিন পাওয়ায় এবার এমনই মন্তব্য করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। একইসঙ্গে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, কেস ডায়েরি দেওয়ার আগেই অভিযুক্তদের জামিন! সরকারি আইনজীবীর ভূমিকাও এক্ষেত্রে সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়।
কোন মামলায় এই মন্তব্য হাইকোর্টের (Calcutta High Court)?
বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানো এবং বোমাবাজির ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেতা অর্জুন সিং (Arjun Singh)। এই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন তিনি। এই মামলায় কেন্দ্র এবং এনআইএ-কে পার্টি করার আর্জি জানান অর্জুন। শুক্রবার সেই মামলার শুনানিতেই অভিযুক্তদের জামিনের কথা শুনে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন বিচারপতি ঘোষ।
প্রাক্তন বিজেপি সাংসদের বাড়িতে হামলা এবং তাঁকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে ধৃতরা কীভাবে জামিন পান, প্রশ্ন তোলে হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। জাস্টিস ঘোষ বলেন, ‘এটা কীভাবে হয়! আমি হতভম্ব! ৩০৭ ধারায় অভিযুক্তরা কীভাবে জামিন পেয়ে যায়! এক্ষেত্রে সরকারি আইনজীবীর ভূমিকাও সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়। কেস ডায়েরি দেওয়া হল না, অথচ অভিযুক্তরা জামিন পেয়ে গেল! এটা হতে পারে?’
আরও পড়ুনঃ পরিবহণ ব্যবস্থা হবে আরও মসৃণ! বাস নিয়ে বিরাট সিদ্ধান্ত সরকারের! ধন্য ধন্য করছে সকলে
পাল্টা সরকারি আইনজীবীর তরফ থেকে দাবি করা হয়, প্রথম ৩ জনের ক্ষেত্রে কেস ডায়েরি দেখেই নিম্ন আদালত জামিন দিয়েছে। পরবর্তীতে আত্মসমর্পণ করে বাকিরা জামিন পান। পুলিশ পরে সেটা জানতে পারে। একথা শোনার পর বিচারপতি ঘোষ (Justice Tirthankar Ghosh) বলেন, এখানেই তো নিম্ন আদালতের সরকারি আইনজীবীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।
এদিকে বিজেপি সাংসদ অর্জুন এই মামলায় এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সেই বিষয়ে হাইকোর্টের বক্তব্য, দেশের সুরক্ষা কিংবা দেশের অভ্যন্তরের সুরক্ষা বিঘ্নিত হতে পারে, এই ধরণের বিষয়ে এনআইএ (NIA) তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। এই মামলায় যদি এনআইএ-র হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়, তাহলে তদন্তের গভীরতা নষ্ট হতে পারে।
হাইকোর্ট (Calcutta High Court) জানায়, এনআইএ-র পরিবর্তে যদি অন্য কোনও এজেন্সিকে দিয়ে তদন্তের আবেদন করা হতো, তাহলে অন্য প্রেক্ষাপটে আদালত বিষয়টি বিচার করতো। তবে প্রাথমিকভাবে অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে তদন্তভার দেওয়ায় আদালতের আপত্তি রয়েছে। একইসঙ্গে বিচারপতির প্রশ্ন, কেন্দ্র নিজেই এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিতে পারে। তারা কেন কিছু করেনি? বিস্ফোরণের পর রাজ্য আইন মেনে এই ঘটনা কেন্দ্রকে জানিয়েছে কিনা সেটাও জানতে চায় আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানিতে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।