কতক্ষন রোদে থাকলে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়? জানেন?

ভিটামিন ডি (Vitamin D) আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি হাড়কে শক্তিশালী করতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ভিটামিন ডি (Vitamin D) এর সবচেয়ে ভালো উৎস হল সূর্যের আলো। কিন্তু প্রশ্ন হল, কতক্ষণ রোদে থাকা উচিত যাতে শরীর পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি পায়? আসুন, জেনে নেই এর সঠিক উত্তর? কতক্ষণ রোদে থাকা উচিত? প্রতিদিন ১৫ থেকে ৩০ মিনিট রোদে থাকা শরীরের ভিটামিন ডি পাওয়ার সঠিক উপায়। এই সময়টি আপনার ত্বকের রঙ এবং সূর্যালোকের তীব্রতার উপর নির্ভর করে। হালকা ত্বকের লোকদের প্রায় ১৫ থেকে ৩০ মিনিটের জন্য রোদে থাকা উচিত। আবার ডার্ক ত্বকের লোকদের ২০-৩০ মিনিটের জন্য রোদে থাকা উচিত। সকালের সময়কে সর্থেকে ভালো সময় হিসাবে গণ্য করা হয়, কারণ এই সময়ে ভিটামিন ডি উৎপন্নকারী UVB রশ্মি বেশি কার্যকর।

সকাল ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত সময়কে সবথেকে ভালো সময় বলে মনে করা হয়। এই সময় সূর্যের রশ্মিতে বেশি UVB রশ্মি থাকে, যা আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি তৈরিতে সাহায্য করে। যখন এই রশ্মিগুলি আমাদের ত্বকে পড়ে, তখন শরীর ভিটামিন ডি তৈরি করে, যা হাড়কে শক্তিশালী করতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতিতে সাহায্য করে। শরীরের ২৫-৩০% যেমন হাত, পা বা পিঠ সূর্যের আলোতে উন্মুক্ত করা উচিত, যাতে আপনার শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি পেতে পারে।

Vitamin D

প্রশ্ন হল, কতক্ষণ রোদে থাকা উচিত যাতে শরীর পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি (Vitamin D) পায়?

যদিও সূর্যের আলোর সংস্পর্শে থাকা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তবে বেশিক্ষণ সূর্যের আলোতে থাকা ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। যেমন, ত্বক পুড়ে যেতে পারে বা ট্যানড হতে পারে। অতএব, যদি আপনি ৩০ মিনিটের বেশি রোদে থাকেন তবে হালকা সানস্ক্রিন প্রয়োগ করা অতি গুরুত্বপূর্ণ।

আপনি যদি রোদে বেরোতে না পারেন, তাহলে আপনি ভিটামিন ডি-এর অন্যান্য উৎস থেকে পেতে পারেন। মাছ, বিশেষ করে স্যামন এবং টুনা ভিটামিন ডি এর একটি ভাল উৎস। এছাড়াও ডিমের কুসুমে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এছাড়াও মাশরুম একটি প্রাকৃতিক উৎস, যা শরীরে ভিটামিন ডি সরবরাহ করে। আপনি যদি এই খাবারগুলি থেকে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি না পান তবে আপনি আপনার ডাক্তারের পরামর্শে ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্টও খেতে পারেন।


Pousali Chakraborty
Pousali Chakraborty

সংবাদের প্রতি টানে ব্রেকিংয়ের দুনিয়ায় পা দেওয়া পৌষালীর। দর্শন নিয়ে স্নাতকে এগোলেও পরবর্তী পথ চলাটা খবরের দিকে ঘুরে যায়। জীবনে আসে যাদবপুর থেকে পড়ার অল্প সময়ের সুযোগ। টলিপাড়ায় উঁকি দেওয়া থেকে বাইশ গজের পিচে কার ঝুলিতে কত রান, দুই দিকেই নজর ঘোরাতে ভালোবাসেন পৌষালী। পর্দার অনুষ্কা-মাঠের বিরাট দু'জনের খবর সমান তালে রাখার চেষ্টা করে। অবসর সময় কাটে নাচ, বই, ম্যাগাজিনে চোখ বুলিয়ে।

সম্পর্কিত খবর