বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মানিকতলা উপনির্বাচনে এবার তৃণমূলের বাজি ছিলেন সুপ্তি পাণ্ডে। দুঁদে রাজনীতিক সাধন পাণ্ডের স্ত্রীয়ের হাতেই এই আসনে ঘাসফুল ফোটানোর দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়। সেই দায়িত্ব পূরণে সক্ষম হয়েছেন সাধন-জায়া। কল্যাণ চৌবেকে বিরাট ব্যবধানে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন তিনি। এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সম্বন্ধে একাধিক অজানা তথ্য তুলে ধরেন মানিকতলার নব নির্বাচিত বিধায়ক।
মমতা (Mamata Banerjee) সম্বন্ধে অজানা তথ্য শেয়ার সুপ্তির
শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রায় সমবয়সী হলেন সুপ্তি (Supti Pandey)। শনিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নানান অজানা কাহিনী তুলে ধরেন তিনি। সাধন-জায়া বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী আমার থেকে ৪-৫ বছরের বড়। ও স্নাতক পাশ করার পর বহুদিন বসেছিল। নিজের কাজ করছিল। এরপর ওয়ার্ল্ড হিস্ট্রি নিয়ে স্নাকতোত্তর পড়তে যায়। আমি পড়তে যাই সায়েন্স কলেজে। ও হয়তো রাজনীতি করবে ভাবতো। তবে আমরা জানতাম না মমতা আদৌ রাজনীতি করে’।
সুপ্তি বলেন, সাধন পাণ্ডের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পর সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের পাশে মমতাকে (Mamata Banerjee) দেখেছিলেন তিনি। সেই সময় শ্বশুরমশাইকে বলেন, মমতাকে তিনি চেনেন। এরপর উপনির্বাচনের সময় তাঁকে মমতা দেখে জিজ্ঞেস করেন, তুই কীভাবে এখানে এলি। এরপর সাধন-সুপ্তির বিয়ের কথা জানতে পারেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ বিদ্যুতের বিলের জন্য এবার গুনতে হবে মোটা টাকা! কেন্দ্রের এক সিদ্ধান্তে তুমুল শোরগোল!
উল্লেখ্য, মানিকতলার বিধায়ক সাধন পাণ্ডে প্রয়াত হওয়ার কারণে এবার এই আসনে উপনির্বাচন হল। প্রথমে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল, সাধন-সুপ্তির মেয়ে শ্রেয়াকে প্রার্থী করা হবে এই কেন্দ্রে। তবে পরে সামনে আসে সুপ্তির নাম। গতকাল ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর দেখা যায়, বিজেপির কল্যাণ চৌবেকে বিরাট ব্যবধানে হারিয়েছেন তিনি।
একুশের ভোটেও পদ্ম শিবিরের তরফ থেকে দাঁড় করানো হয়েছিল কল্যাণকে। সেবার সাধনের কাছে প্রায় ২০ হাজার ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি। তবে এবার জয়ের মার্জিনের নিরিখে স্বামীকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন সুপ্তি। প্রায় ৬৩ হাজার ভোটে কল্যাণকে পরাজিত করেছেন সাধন-জায়া।