বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃণমূলের ফেরার পর ৭২ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই ফের একবার স্বমহিমায় মুকুল। ইতিমধ্যেই তিনি তৃণমূলে যোগদান করার পর যথেষ্ট সরগরম রাজ্য রাজনীতি। দলত্যাগ করছেন একের পর এক বিজেপি নেতা। কখনও বনগাঁর প্রাক্তন খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ রতন ঘোষ, কখনও রাজ্য কিষান মোর্চার সম্পাদক দেবযানী দাশগুপ্ত, মুকুল দল ত্যাগের পরেই একের পর এক দল ছেড়েছেন তারাও। তার তৃণমূলে যোগদানের দিনেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, যোগদান করবেন আরও অনেকেই। সেই সূত্র ধরেই যেন এবার শুরু হলো রাজনীতির চাণক্যের কর্মকাণ্ড। সূত্রের খবর অনুযায়ী ইতিমধ্যেই মুকুল রায়ের ফোন পেয়েছেন একাধিক বড় বিজেপি নেতা।
কারা কারা রয়েছেন তালিকায়? খবর অনুযায়ী,শিখা চট্টোপাধ্যায়, মিহির গোস্বামী, সুদীপ মুখোপাধ্যায়, নরহরি মাহাতো, বিশ্বনাথ কারক, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বিশ্বজিৎ দাস, সত্যেন রায়, সুনীল সিং সহ ফোন পেয়েছেন প্রায় ১১ জন। দাবি করা হয়েছে ফোন গিয়েছে কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের কাছেও। লোকসভার আগে এবং তারপরে তৃণমূল ছেড়ে একের পর এক বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন যারা, তাদের অনেকেরই নেপথ্যে ছিলেন মুকুল রায়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তৃণমূলের পক্ষে দাঁড়িয়েও একই কাজ শুরু করলেন তিনি। সংগঠনের নেতা হিসেবে, মুকুল রায়ের দক্ষতার কথা কারও অজানা নয়। তাই আগামী দিনে ঘাসফুল শিবিরে হয়তোবা দেখা যেতে পারে অনেক পুরনো মুখ।
তবে ইতিমধ্যেই ভাঙনরোধে বাঁধের কাজ শক্তপোক্ত করতে চলেছে বিজেপিও। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সংগঠনের সমস্ত দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। অন্যদিকে মুকুলের সামনে সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠতে পারেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতা তো বটেই ভাঙনরোধে পরিষদীয় দল অর্থাৎ নির্বাচিত বিধায়কদেরও নেতা হতে চলেছেন শুভেন্দুই। এছাড়া বড় দায়িত্ব পেতে পারেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এবং নিশীথ প্রামানিকও। তবে গেরুয়া শিবিরের হালচাল যে এখন ভালো ঠেকছে না তা বলাই বাহুল্য।
কারণ সংগঠনের একদিকে যেমন ছিলেন দিলীপ তেমনি অন্যদিকে রণনীতির প্রধান কারিগর ছিলেন মুকুল। সেই মুকুল রায় না থাকায় বিজেপি যেসব যথেষ্ট ক্ষতির মুখে পড়বে এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। তবে দল বদলুদের দলে ফেরত নেওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই অসন্তোষ তৈরি হয়েছে তৃণমূলের নিচতলায়। বিশেষত রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সুনীল সিংকে নিয়ে জায়গায় জায়গায় দেখা গিয়েছে প্রতিবাদ। তাই আগামী দিনে এরা যদি দলে ফেরেন তাহলে পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে তা অনুমান করা যথেষ্ট কঠিন।