বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আর হাতে গোনা মাত্র কয়েকটা দিন, তারপরেই শুরু হবে রাজ্যে প্রথম দফার নির্বাচন। রাজ্যে আট দফায় হতে চলা নির্বাচনে বিজেপি এখনও পর্যন্ত ২৮২ জনের তালিকা জারি করেছে। ঘোষিত ২৮২ প্রার্থীর মধ্যে ৪৬ জন প্রার্থী ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের পর দুই বছরেরও কম সময়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। আর ওই ৪৬ জনের মধ্যে ৩৪ জন তৃণমূল থেকে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন। সিপিএমের ছয়, কংগ্রেসের চার আর ফরোইয়ার্ড ব্লক এবং গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার এক-এক জন করে প্রার্থী আছে। আর বিগত দুই বছরে বিজেপিতে যোগ দেওয়া ৪৬ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩৬ জন গত ছয় মাসে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন।
বাংলার নির্বাচনের জন্য বিজেপি ২৯৪ টি আসনের মধ্যে ২৮২ টি আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে, আর পুরুলিয়া জেলার বাঘমুন্ডির আসনটি নিজেদের সহযোগী দল আজসু’র জন্য ছেড়েছে। বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, বাংলায় মাত্র ২৯৪ টি আসন আছে, আমরা সবাইকে তো প্রার্থী করতে পারব না। কিছু মানুষ পাবেন, আর কিছু মানুষ পাবেন না। সবাইকে এটা মেনে নিতে হবে। যারা পার্টি অফিসে ভাঙচুর করছে, আগুন জ্বালাছে তাঁরা আমাদের দলের সদস্য না। আমরা এইরকম আচরণকে প্রশ্রয় দিইনা। আমরা এই কাজের তীব্র নিন্দা করছি।
বিজেপি প্রথমে প্রথম দুই দফার জন্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে। ওই দুই দফায় পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব আর পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো জেলার প্রার্থী ছিল। এরপর বিজেপির আরেকটি দফায় দুজন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছিল। বিজেপি তৃতীয় দফায় ৬৩ জন প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা করে, এরপর দলীয় কর্মীদের মধ্যে বিক্ষোভ শুরু হয়। হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা আর হাওড়া জেলার কর্মীরা প্রার্থী বদলের দাবি নিয়ে বিজেপির পার্টি অফিসের বাইরে ধরনা দেয়। এছাড়াও বিজেপির নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং ওনার বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় দল ছাড়ার ঘোষণা করেন।
শোভনবাবু বেহালা পূর্ব থেকে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন, কিন্তু বিজেপি ওনার দাবি পূরণ করেনি। ২০১১ আর ২০১৬-র নির্বাচনে শোভনবাবু বেহালা পূর্ব আসন থেকে বিধায়ক হয়েছিলেন। শোভনবাবু বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে একটি চিঠি লিখে দলের সদস্যতা ছাড়েন। আরেকদিকে, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় একটি ফেসবুক পোস্ট ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, টিকিট না পাওয়ার কারণে তিনি অপমানিত বোধ করছেন।