বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত দু’বছর থেকে রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) নিয়ে শোরগোল। শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ শিক্ষা দফতরের একাধিক আধিকারিক। একের পর এক ‘দুর্নীতির’ মামলা দায়ের হয়েছে আদালতে। এদিকে দুর্নীতি ইসুতেই আদালতের রায়ে চাকরি হারিয়েছেন বহু শিক্ষক (Teachers)। সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে রয়েছে এসএসসির ২৬০০০ চাকরি। এই আবহে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার এক স্কুল শিক্ষক আরটিআই করে জানতে চেয়েছিলেন, এ রাজ্যের স্কুলগুলিতে কত শূন্যপদ রয়েছে (Teachers)।
এল RTI- র জবাব?
জানা গিয়েছে অনিমেষ হালদার নামের ওই স্কুল শিক্ষক একটি শিক্ষক সংগঠনের সঙ্গেও যুক্ত রয়েছেন। সেকারণে নানা সময় তার কাছে শিক্ষকদের বদলি সংক্রান্ত ব্যাপারে অভিযোগ আসে। সেরমই এক কারণে তিনি আরটিআই করে শূন্যপদের সংখ্যা জানতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার উত্তরে তিনি যা পেলেন তা অবাক করার মতো।
সূত্রের খবর, ওই শিক্ষকের প্রশ্নে কোনো উত্তরই দিতে পারেনি বিকাশ ভবন। জানা গিয়েছে শিক্ষক শিক্ষা দফতরের ডেপুটি সেক্রেটারি তথা এসপিআইওর কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। সেই চিঠি পাঠানো হয় স্কুল শিক্ষা কমিশনারের এসপিআইওর কাছে। এরপর গ্রান্ট ইন এইড সেকশনে যায় সেই চিঠি। আর সেখান থেকে জানানো হয়, এরকম কোনো তথ্য হাতের কাছে প্রস্তুত নেই। তাই এই বিষয়ে কোনো তথ্যই দিতে পারেনি বিকাশ ভবন। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে জোর চর্চা।
সত্যিই কি সরকারের কাছে তথ্য নেই নাকি সরকার ইচ্ছাবশতই সেই তথ্য চেপে যেতে চাইছে? এই প্রশ্ন উঠছে। আবার অনেকেই মনে করছেন যেহেতু শূন্যপদের সংখ্যা পরিবর্তনশীল তাই একেবারে সঠিক তথ্য দেওয়া সম্ভব হয় না। ভুল তথ্য দিলে আবার সমস্যা হতে পারে। তবে এখানেও প্রশ্ন উঠছে যদি কোথাও যদি নিয়োগ হয় সেই আপডেট অবশ্যই শিক্ষাদফতরের কাছে থাকবে।
আরও পড়ুন: অভয়া তহবিলের ৪ কোটি দেওয়া হোক নির্যাতিতার বাবা-মাকে, জেডিএফ-কে ‘চ্যালেঞ্জ’ জেডিএ-র
উল্লেখ্য, এই শূন্যপদের উপর একাধিক বিষয় নির্ভর করে। তাই যদি শিক্ষাদফতরের শূন্যপদের সংখ্যা না জানাতে পারে তাহলে এর দায় কে নেবে? নিয়োগ দুর্নীতির বহু মামলার নিরিখেও একাধিকবার স্কুলগুলিতে শূন্যপদের সংখ্যা কত সেই বিষয় উঠে এসেছিল। যদিও এবার আরটিআই হতে জবাবে স্কুল শিক্ষা দফতর জানিয়ে দিল শূন্যপদের সংখ্যা তারা ঠিক জানাতে পারছে না।