বাংলাহান্ট ডেস্ক : দীর্ঘ অপেক্ষার পর দিঘায় উদ্বোধন হয়েছে জগন্নাথ মন্দির (Digha Jagannath Temple)। তারকা খচিত চোখ ধাঁধানো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্দিরের দরজা উন্মোচিত হয়েছিল স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে। শুরুর দিন থেকেই দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছিল। মন্দিরে মূল বিগ্রহের সামনে একটাই প্রণামী বাক্স রয়েছে। আর দর্শনার্থীদের ভিড়ের চাপে অনেকে পৌঁছাতেই পারছেন না প্রণামী বাক্সের সামনে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আরো ১০ টি প্রণামী বাক্স তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই।
দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে (Digha Jagannath Temple) উপচে পড়ছে ভিড়
দিঘায় জগন্নাথ মন্দির (Digha Jagannath Temple) উদ্বোধন হওয়ার পর কেটেছে ১৫ দিন। আনন্দবাজার অনলাইন এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, উদ্বোধনের পর থেকেই দর্শনার্থীদের ঢল নামছে মন্দিরে। প্রথম চার দিনেই নাকি দর্শনার্থীদের সংখ্যা ছাপিয়ে গিয়েছিল ১০ লক্ষ। এদিকে প্রণামীও জমছে প্রচুর। এই ১৫ দিনে নাকি নাকি প্রায় ৯ লক্ষেরও বেশি প্রণামী জমা পড়েছে।
কত অর্থ উঠল প্রণামীর বাক্সে: ইসকন কলকাতার ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস, যিনি কিনা দিঘার জগন্নাথধাম ট্রাস্টের অন্যতম সদস্য, তিনি বলেন, প্রতি মঙ্গলবার করে প্রণামী বাক্সের অর্থ গোনা হচ্ছে। গত মঙ্গলবার পর্যন্ত অর্থের পরিমাণ ছিল ৯ শলক্ষ টাকারও বেশি। উপরন্তু এই অর্থ গোনাও সময়সাপেক্ষ কাজ বলে জানান রাধারমণ দাস। গত মঙ্গলবার নাকি দুপুর ১ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত শুধু প্রণামীর অর্থ গোনা হয়েছে।
আরো পড়ুন : পড়ুয়াদের দাবি মেনেই বড় বদল, কলেজে ভর্তির পোর্টালে জুড়ছে এই বিশেষ ‘সুবিধা’
কীভাবে গোনা হচ্ছে অর্থ: তিনি আরো জানান, প্রচুর পরিমাণে কয়েন পড়ছে প্রণামীতে। ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা উঠেছে শুধু কয়েনেই! এছাড়া ১০ টাকা এবং ২০ টাকার নোট তো রয়েছেই। সাধারণ কার্যপ্রণালী অর্থাৎ এসওপি মেনেই অর্থ গোনা হচ্ছে বলে জানান তিনি। সে সময় উপস্থিত থাকছেন প্রশাসনিক আধিকারিক, ব্যাঙ্কের কর্মচারী, কোনো ইসকন সন্ন্যাসী এবং নির্দিষ্ট সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবকেরা। পুরো প্রক্রিয়াটা হচ্ছে সিসিটিভির নজরদারিতে। এত বিপুল পরিমাণে প্রণামী (Digha Jagannath Temple) পড়লেও নাকি কুলিয়ে ওঠা যাচ্ছে না। এত ভিড় হচ্ছে যে বিগ্রহের সামনে রাখা প্রণামী বাক্স পর্যন্ত অনেকে পৌঁছাতেই পারছেন না।
এমতাবস্থায় তাই ১৫ দিন যেতে না যেতেই আরো ১০ টি বাক্স তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছে। জানা যাচ্ছে, স্টেনলেস স্টিলের তৈরি বাক্সগুলি মন্দিরের বিভিন্ন অংশে রাখা থাকবে দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য। ওই বাক্সগুলির চাবির দায়িত্বে যারা থাকবেন তাদেরও নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত থাকবে ডিউটি। অন্যদিকে মন্দিরে ভিড় সামলাতে জেলা পুলিশের তরফে শুধুমাত্র দিঘার মন্দিরের জন্যই ১০০ জন ভলান্টিয়ার নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। রাজ্য মন্ত্রিসভার সম্মতি ক্রমেই এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে।