৩ লক্ষ ডিম, কুইন্টাল-কুইন্টাল চাল! একুশে খাওয়ায় কত খরচ করল তৃণমূল? শুনলে চোখ কপালে উঠবে

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত শুক্রবার ছিল ২১ জুলাই, তৃণমূলের শহীদ দিবস (TMC Shahid Diwas)। লক্ষ লক্ষ তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের ভিড় হয় ধর্মতলায়। আর এই দিনটির কথা বললেই সকলের মাথায় আসে তৃণমূলের ঐতিহ্যবাহী ডিম-ভাতের কথা। তৃণমূলের সমাবেশে ঐতিহ্যবাহী ডিম-ভাতের (Dim Bhat) যুগলবন্দী যে থাকবেই সেই বিষয়ে কারও সন্দেহের অবকাশ নেই।

দলের কর্মী-সমর্থকদের আহারের ব্যবস্থায় পাতলা ডিমের ঝোল আর ভাতই শাসকদলের ফার্স্ট চয়েস। দূরদূরান্ত থেকে আসা কর্মীদের থাকার ব্যবস্থা থেকে শুরু করে খাওয়া দাওয়া, পর্যাপ্ত পরিমাণে পানীয় জল, শৌচালয় ইত্যাদির ব্যবস্থা দলই করে থাকে। শহিদ দিবসের একদিন আগে থেকেই খাওয়া-দাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়।

২১ জুলাইয়ের এই মেনু নিয়ে বাংলার রাজনীতিতে অনেক কথার প্রচলন রয়েছে। বিরোধদের কথায় আবার ‘ডিম্ভাত’। কতই না ঠাট্টা, মিম, মশকরা এই খাবারকে নিয়ে। তবে ডিম ভাতের পাশাপাশি এবছর মেনুতে ছিল সয়াবিন তরকারি, আমের চাটনি। কোথাও কোথাও নাকি মুরগির মাংসও খাওয়ানো হয়েছিল। এই লক্ষ লক্ষ তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের আপ্যায়ন করতে গিয়ে কত টাকা (Expenses) খসলো তৃণমূলের? চলুন জেনে নেওয়া যাক।

সূত্র অনুযায়ী, এ বছর শহীদ দিবসের একদিন আগেই বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রায় ৮০ হাজার তৃণমূল কর্মী সমর্থক পৌঁছন কলকাতায়। এর মধ্যে প্রায় ৪০ হাজার কর্মী সমর্থকের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল সল্টলেক বইমেলা প্রাঙ্গণের চারটি জায়গা, সেন্ট্রাল পার্ক, গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, উত্তীর্ণ এবং ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে। এদের তিন বেলার খাবারের ব্যবস্থা করেছিল দল।

ডিমভাত ছাড়াও লুচি, আলুর দম অথবা মুড়ি ঘুগনি, ভাত, ডাল, পাঁচ মেশালী সবজি বা সোয়াবিন তরকারি, চাটনি ইত্যাদি ছিল। পাশাপাশি সমাবেশের জন্য আগত পরিবারের সাথে যে সকল ছোট বাচ্চারা এসেছিল তাদের জন্য আলাদা করে দুধের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই দুদিনের জন্য দল তরফে ১৬০ কুইন্টাল চাল এবং ৩ লক্ষ ২ হাজারটি ডিমের বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। অন্যান্য মশলা, শাক-সবজি আনুষঙ্গিক জিনিস তো রয়েইছে।

dim bhat

যদিও এই ডিম কেবল একটি দুটি ক্যাম্পের জন্য নাকি সব মিলিয়ে সেটার কোনও উল্লেখ করা নেই ওই প্রতিবেদনে। এবার আসি খরচার হিসেবে। যদি ডিমের সর্বনিম্ন দাম ৬ টাকা ধরা হয় তাহলে শুধুমাত্র ডিমের জন্যই খরচ হচ্ছে ১৮ লক্ষ টাকা। পাশাপাশি যদি চালের দাম সর্বনিম্ন ৩৮০০ টাকা কুইন্টাল ধরা হয় তাহলে তার জন্য খরচ হচ্ছে ৬ লক্ষ টাকারও বেশি।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর