জেগেই প্রথম রাত কাটালেন শাহজাহান! কী এমন হল CBI হেফাজতে? শুনলে চোখে জল আসবে

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অবশেষে খাঁচাবন্দি সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ‘বাঘ’। ইডি পেটানোর ঘটনার ৫৫ দিন, প্রায় দুমাসের টানটান উত্তেজনার পর প্রথমে পুলিশের হেফাজত, আর বর্তমানে সিবিআইয়ের (CBI) কাছে সন্দেশখালির শেখ শাহজাহান (Seikh Shahjahan)। বহু টালবাহানার পর বুধবার রাত্রি ৯টা ২২ মিনিট নাগাদ শাহজাহানকে নিয়ে নিজাম প্যালেসে পৌঁছান সিবিআই আধিকারিকরা। গতকাল সিবিআই হেফাজতে প্রথম রাত কাটালেন ‘বেতাজ বাদশা’। কী কী হল সেখানে?

সিবিআই সূত্রে খবর, নিজাম প্যালেসে যে ঘরে নিয়োগ দুর্নীতির পার্থ চট্টোপাধ্যায়, গরু পাচারকাণ্ডের অনুব্রত মণ্ডলরা রাত কাটিয়েছেন সেই ঘরেই রাখা হয়েছে শাহাজানকে। তিনজনাই শাসকদলের ‘দাপুটে’ নেতা। যেই ‘বাদশা’র মুখে আমিষ ছাড়া রোচে না, রাতে ডিনারে সেই শাহজাহানকে দেওয়া হয়েছে ভাত,ডাল,সবজি। হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে হালকা খাবার দেওয়া হয়েছে রেশন দুর্নীতির অভিযুক্ত শাহজাহান শেখকে।

   

কড়া সিআরপিএফ প্রহরা রয়েছে শাহজানের ঘরের বাইরে। রাতেও নজরদারিতে খামতি ছিল না। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, হেফাজতের প্রথম রাতেও ছাড় দেওয়া হয়নি শাহজাহানকে। জোকা ইএসআই হাসপাতাল থেকে ফেরার পর রাত্রিবেলাই টানা দু-ঘণ্টা জেরা করা হয় শাহজাহানকে। এরপর অবশ্য ঘুমানোর সুযোগ দেওয়া হয় সন্দেশখালিকাণ্ডের মূল অভিযুক্তকে। যদিও হেফাজতের প্রথম রাতে নাকি মোটেও ঘুম হয়নি শাহজাহানের। সারা রাত দুচোখের পাতা এক করতে পারেননি সন্দেশখালির বাঘ।

সকাল-সকাল, ব্রেকফাস্টে চা-বিস্কুট দেওয়া হয়েছে শাহজাহানকে। তবে সূত্রের খবর, সকালেই তিনি ভাত খাওয়ার ‘আবদার’ করেন। তবে আপাতত তার সেই আবদার মেটানো হবে না বলেই জানা গিয়েছে। কারণ চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে সকালে রুটি,সবজি দেওয়া হয়েছে শাহজাহানকে।

shahjahan ff

আরও পড়ুন: আসল বাবা নয়, বার্থ সার্টিফিকেটে থাকুক সৎ বাবার নাম! যুগান্তকারী রায় কলকাতা দিল হাই কোর্ট

সূত্রের খবর, সকাল ১১টা নাগাদ শাহজাহানকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে সিবিআই। প্রসঙ্গত, বহু কাঠ-খড় পোড়ানোর পর শাহজাহানকে পুলিশের থেকে ‘ছিনিয়ে’ নিয়ে এসেছে সিবিআই। তাই বিন্দুমাত্র সময়ও ব্যয় করতে চাইছে না গোয়েন্দারা। ওদিকে সিবিআই হেফাজতে শাহজাহানের তেজও অর্ধেক হয়ে গিয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর