বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমরা সবাই আমাদের টাকা এবং অন্যান্য মূল্যবান সম্পদ রাখার জন্য চোখ বন্ধ করে ব্যাংকে (Bank) চলে যাই। কিন্তু আপনি কি জানেন আপনার ব্যাংক কতটা নিরাপদ? এখানে নিরাপত্তা বলতে চোর, ডাকাত বা অন্যান্য অপরাধমূলক ঘটনা বোঝায় না। এখানে নিরাপত্তা বলতে বোঝায়, একটি ব্যাংকের শিকড় কতটা মজবুত এবং তা অদূর ভবিষ্যতে কোনো আর্থিক সংকটে ডুবে যাবে কি না?
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত এক বছর ধরে দেশের প্রতিটি ছোট-বড় ব্যাঙ্ক এবং স্মল ফাইন্যান্স ব্যাংক তাদের গ্রাহকদের জন্য ফিক্সড ডিপোজিটের (Fixed Deposit) সুদের হার বাড়িয়েছে। যার ফলে সাধারণ মানুষ FD তে প্রচুর বিনিয়োগ করছে। এমতাবস্থায় কীভাবে জানবেন, আপনার এই টাকা এখানে নিরাপদ কী না? আজকের প্রতিবেদনে এমনই কিছু টিপস রইল আপনাদের জন্য।
১. একাধিক DICGC বীমা কভার ব্যবহার করুন : আপনার আমানতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দেখে নিন এটি সম্পূর্ণরূপে আমানত বীমা এবং ক্রেডিট গ্যারান্টি কর্পোরেশন (DICGC) ৫ লক্ষ টাকার বীমার আওতায় রয়েছে কী না? এটি মূল এবং সুদ উভয়ই কভার করে।
২. লিকুইডিটি কভারেজ রেশিও (LCR) : এলসিআর একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের উচ্চ-মানের লিকু্্যইডিটি অ্যাসেট (HQLAs) বিবেচনা করে। কোন ব্যাংক এলসিআর হাই, অর্থাৎ সেই ব্যাংক আর্থিক ক্ষতি সামলানোর ক্ষমতা রাখে।
৩. মূলধনের দিক থেকে ব্যাংক কতটা শক্তিশালী : কোন গ্রাহক যদি ব্যাঙ্কের থেকে ঋণ নেয় এবং বড় ক্ষতির সম্মুখীন হয় তাহলে ব্যাংক সময়মতো টাকা তুলতে পারবে না। অর্থাৎ ব্যাংকের নিজস্ব মূলধন যত বেশি, গ্রাহকদের ঝুঁকি তত কম।
৪. নেট স্ট্যাবল ফান্ডিং রেশিও (NSFR) : SFB-এর কারেন্ট অ্যাকাউন্ট সেভিংস অ্যাকাউন্ট (CASA) অনুপাত, Net Stable Funding Ratio (NSFR), লিকুইডিটি কভারেজ রেশিও (LCR) ও ক্যাপিটাল এডকুয়েসি রেশিও (CAR) ব্যাংকের ওয়েব সাইটে দেওয়া থাকে। এগুলি অবশ্যই চেক করুন।
৫. গ্রস নন-পারফর্মিং অ্যাসেট (GNPA): প্রতিটি ঋণ বা ক্রেডিট লাইন হল ব্যাংকের একটি সম্পদ। যে কোন ব্যাংক এটি থেকে আয় করে থাকে। কোন ব্যাংক কত ঋণ দিয়ে রেখেছে তা বোঝা যায় GNPA দেখে। তাই কোন ব্যাঙ্কের GNPA হাই মানে ব্যাংকটি তার ঋণ পুনরুদ্ধার করতে সমস্যায় পড়েছে এবং ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।
৬. নেট নন-পারফর্মিং অ্যাসেট (NNPA) : যখনই একটি ব্যাংকের জিএনপিএ বাড়ে, তখনই ভবিষ্যতে লোকসানের ব্যবস্থা করতে হয়। কোন ব্যাংকের NNPA অনুপাত কম মাঝে সেই ব্যাংক যে কোন আর্থিক ক্ষতির মোকাবেলা করতে সক্ষম।
৭. আর্থিক তথ্যের সময়মত ঘোষণা : লক্ষ্য করে দেখুন আপনার ব্যাংক নিয়মিত তার আর্থিক তথ্য ঘোষণা করছে কি না! যদি করে তাহলে ব্যাংক তার স্বচ্ছতা বজায় রেখেছে। না করলে বুঝতে হবে ব্যাংকের সবকিছু ঠিক নয়।