বাংলাহান্ট ডেস্ক: আপনি কি কাজের সূত্রে নিজের জায়গা থেকে অন্য কোনও শহরে চলে যাচ্ছেন? আপনার কি পাকাপাকি ভাবেই কোথাও চলে যাওয়ার কথা রয়েছে? তাহলে তো আপনাকে বড়ির সমস্ত জিনিস নিয়েই শিফট করতে হবে। কিন্তু বিমানে এতকিছু নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এই সমস্যার সমাধানে এগিয়ে এসেছে ভারতীয় রেল (Indian Railways)। বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্ক আপনাকে সাহায্য করবে। খুব সহজে এবং সস্তায় আপনি আপনার জিনিসপত্র এক শহর থেকে অন্য শহরে নিয়ে যেতে পারবেন।
রেল পরিষেবা ব্যবহার করে সাধারণত দু’ভাবে আপনি মালপত্র নিয়ে যেতে পারেন। প্রথমত, লাগেজ হিসেবে নিতে পারেন। দ্বিতীয়ত পার্সেল হিসেবে নিয়ে যেতে পারেন। লাগেজের অর্থ হল যা আপনি আপনার সঙ্গে নেন। পার্সেলের অর্থ হল যা আপনি আপনার সঙ্গে কামরায় নেন না কিন্তু ট্রেনে থাকে। আপনি যদি অন্য কোনও জায়গায় শিফট করতে চান তাহলে পার্সেলের সুবিধা নিতে পারেন। কারণ এতে সস্তায় অনেক বেশি পরিমাণ জিনিসপত্র নিয়ে যেতে পারবেন।
আপনি যদি জিনিসপত্র ট্রেনের পার্সেল করে পাঠাতে চান তাহলে প্রথমে নিকটবর্তী স্টেশনে যান। সেখানে পার্সেল কাউন্টার থেকে এই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য আপনাকে দিয়ে দেওয়া হবে। সেই হিসেবে ভাল করে জিনিসপত্রের প্যাকিং করুন। এরপর প্যাকেজে নিজের নাম, ঠিকানা এবং বোর্ডিং স্টেশন ও গন্তব্য স্টেশনের নাম লিখুন। এরপর সেই প্যাকেজটি নিয়ে স্টেশনের পার্সেল অফিসে যান। সেখানে গেলে আপনার জিনিসপত্রের বুকিং হবে।
এরপর ফরওয়ার্ডিং লেটার ভর্তি করে পার্সেল অফিসে সেটি জমা দিয়ে দিন। পার্সেলের টাকা দিয়ে রেলের কর্মীর থেকে রসিদ নিন। এ বার প্রশ্ন হচ্ছে, রেলের মারফত পার্সেল পাঠানোর খরচ কেমন? এই মূল্যটি হিসেব করা হয় পার্সেলের ওজন এবং কত দূরে যাচ্ছে সেই ভিত্তিতে। জানিয়ে রাখি, লাগেজের থেকে পার্সেলের দাম কিছুটা সস্তা। আপনাকে একটি ফর্ম ভর্তি করার কথা বলা হবে। এটির একটি কপি আপনার কাছে থাকবে। অন্যটি পার্সেলের মধ্যে দিয়ে দেওয়া হবে।
অন্যদিকে, আপনি যদি লাগেজ পাঠাতে চান, তাহলে স্টেশনের লাগেজ অফিসে ট্রেন ছাড়ার অন্তত ৩০ মিনিট আগে পৌঁছতে হবে। এছাড়াও টিকিট বুকিংয়ের সময়েই যাত্রীরা চাইলে লাগেজ বুকিং করে রাখতে পারেন। তাহলে স্টেশনে তাঁদের বাড়তি কোনও ঝামেলা পোহাতেও হবে না। ভারতীয় রেল সব সময়েই যাত্রীদের সুবিধার দিকে নজর দিয়ে আসছে। যাতে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন, সেদিকে সব সময়েই নজর রয়েছে রেলের। আপনি যদি অন্য কোথাও শিফট করার কথা ভাবেন, তাহলে রেলের সঙ্গে একবার কথা বলে দেখতে পারেন।