বাংলা হান্ট ডেস্ক : ঠোঁট আমাদের শরীরের সবথেকে বেশি সেনসেটিভ জায়গা। তাই শরীরের অন্যান্য অঙ্গের তুলনায় শীতকালের বেশি প্রভাব পড়ে ঠোঁটে। সে কারণেই শীতের শুরুতেই ভালো মানের পেট্রোলিয়াম জেলি, নারকেল তেল বা গ্লিসারিন ঠোঁট ও ঠোঁটের চারদিকে লাগাতে হবে। যারা সব সময় বাইরে থাকেন, তারা সাথে লিপ বাম বা লিপ জেল সাথে রাখতে পারেন। শীতকালে ত্বকের ময়েশ্চার কমে গেলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। তাই শীতে খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনতে পারলে ত্বককে সুস্থ রাখা সম্ভব। এ সময় খাদ্য তালিকায় প্রোটিনের পাশাপাশি সবজির পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে।
টক জাতীয় ফল যেমন-লেবু, জাম্বুরা, কমলা, বরই ভিটামিন সি-এর ঘাটতি কমায় ও ত্বক সুস্থ রাখে। অনেকে ঠোঁট ফাটার হাত থেকে রক্ষা পেতে একটু পর পর জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে থাকে। এই কাজ করা যাবে না। এতে করে ঠোঁট আরো বেশি শুকিয়ে যায় ও ঠোঁট ফাটার প্রবণতা বেড়ে যায়। এছাড়া ভিটামিন ই সমৃদ্ধ লিপ বাম ঠোঁটের সৌন্দর্য রক্ষায় সাহায্য করে ও ঠোঁট ফাটা প্রতিরোধে সাহায্য করে।
লিপস্টিক এর ব্যবহার একটু কমাতে হবে। ব্যবহার করলেও হালকা রং এরটাই ভালো,কারণ গাঢ় রঙে লিপস্টিক এ ঠোঁট বেশি কালো হয়ে যায়। ভালো মানের লিপস্টিক ব্যাবহার করতে হবে। ঠোঁটে লিপস্টিক এর পরিবর্তে লিপ আইস ব্যবহার করতে পারেন।ঠোঁটকে সতেজ রাখতে রাতে ঘুমানোর আগে কিংবা সবসময়ই গ্লিসারিন ব্যবহার করুন।
প্রতিদিন দুধ এর সাথে একটু লেবুর রস মিশিয়ে ঠোঁটে লাগান, দেখবেন আস্তে আস্তে ঠোঁটের কালোভাব দূর হয়ে গোলাপি আভা আসবে ।
ঠোঁট ফাটা রোধে সমপরিমান গ্লিসারিন আর লিপজেল মিক্স করে ব্যাবহার করতে পারেন ।
শীতকালে নিয়মিত ভালো ব্র্যান্ডের লিপজেল বা লিপবাম ব্যাবহার করুন ।