বাংলাহান্ট ডেস্ক: এই মুহূর্তে ছোটপর্দায় যেকটি নন ফিকশন শো চলছে তাদের মধ্যে ডান্স বাংলা ডান্স (Dance Bangla Dance) জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে সবার উপরে থাকবে। একথা আমরা বলছি না, দর্শকদের বিচারেই বহুবার প্রমাণিত হয়েছে তা। শুরু থেকেই ডান্স বাংলা ডান্সের টিআরপি ছিল চড়া। প্রতিভাবান প্রতিযোগীদের নাচের জন্য তো বটেই, মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty) দৌলতেও চড়চড়িয়ে বাড়ে টিআরপি। আর তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেন সঞ্চালক অঙ্কুশ হাজরা (Ankush Hazra)।
প্রতি শনি এবং রবিবার সম্প্রচারিত হয় ডান্স বাংলা ডান্সের নতুন পর্ব। প্রতি পর্বেই নতুন নতুন কনসেপ্টের সঙ্গে পারফর্ম করেন প্রতিযোগীরা। রবিবার এমনি এক সুন্দর কনসেপ্ট নিয়ে মঞ্চে পারফর্ম করতে দেখা যায় এক খুদে প্রতিযোগীকে। তার সঙ্গে সঙ্গে বিচারক এবং দর্শকরাও পৌঁছে যান তাদের ছোটবেলায়, স্কুল জীবনে।
এদিন অঙ্কুশের জন্য এক বিশেষ সারপ্রাইজের ব্যবস্থা করেছিলেন শুভশ্রী। তাঁর ছোটবেলার স্কুল হলি রকের শিক্ষক শিক্ষিকারা এসেছিলেন অঙ্কুশকে চমকে দিতে। তাঁদের সকলকে পেয়ে এক নিমেষে নিজের ছোটবেলায় হারিয়ে যান অঙ্কুশ। তিনি জানান ওই স্কুলে নার্সারি থেকে ক্লাস টেন পর্যন্ত পড়েছেন তিনি।
স্কুলে ছাত্র হিসাবে কেমন ছিলেন অঙ্কুশ? প্রাক্তন প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী যিনি কিনা অভিনেতার খুব কাছের একজন মানুষ জানালেন, ছোটবেলায় প্রচুর মার খেয়েছেন তিনি। পড়াশোনা করতে চাইতেন না। তবে ছোট থেকেই নাচটা খুব ভাল করতেন। তবে এতই মিষ্টি ছিলেন তিনি যে মারার আগে আদর করতে মন চাইত। আরেক জন অবশ্য বললেন, অঙ্কুশ ভালোই ছিলেন পড়াশোনায়।
কথায় কথায় এক মজার ঘটনাও জানান অঙ্কুশ। তখন তিনি ক্লাস নাইন-টেনে পড়েন। পড়া না পারায় ক্লাসের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকার শাস্তি পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দাঁড়িয়ে থাকার বদলে নাচতে শুরু করে দিয়েছিলেন অঙ্কুশ। সেটা নাকি আবার দেখেও ফেলেছিলেন এক শিক্ষক। তবে অঙ্কুশের জন্য আজ সকলেই খুব গর্ববোধ করেন, সেটা জানাতে ভোলেননি তাঁর স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা। অন্যদিকে মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তীও জানান, স্কুলে শিক্ষকদের হাতে মার তিনিও কম খাননি। একজন ভেবেছিলেন, মিঠুন তাঁকে ভেঙাচ্ছেন। তারপরেই পড়েছিল মার। স্কুল না যাওয়ার শাস্তিও পেয়েছিলেন তিনি।