বাংলা হান্ট ডেস্ক: পাহেলগাঁও হামলায় পাক জঙ্গি সংগঠনের যুক্ত থাকার প্রমাণ পেতেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একের পর এক বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করে ভারত (India)। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই সফলভাবে “অপারেশন সিঁদুর”-অভিযানের মাধ্যমে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ৯ টি জঙ্গি ঘাঁটিকে ভারত ধ্বংস করেছে। এমতাবস্থায়, পাকিস্তানের সাধারণ জনগণের কথা মাথায় রেখে কিভাবে সর্তকতার সাথে জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে ধ্বংস করে দেওয়া হয় সেই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য ব্যাখ্যা করে ভারতীয় সেনা।
এই বৈঠকের শুরুতেই ভারত পাকিস্তানের কোথায় কোথায় প্রত্যাঘাত করে সেই প্রসঙ্গে মানচিত্র উপস্থাপিত করে তথ্য সামনে আনেন DGMO লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, “৭ মে-র অভিযানে ৯ টি সন্ত্রাসবাদী টার্গেটে নিকেশ হয়েছে শতাধিক জঙ্গি।” এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “সুস্পষ্ট সামরিক লক্ষ্যের ধারণা নিয়েই সম্পন্ন হয় অপারেশন সিঁদুর।”
এই অভিযানে IC 814 বিমান হাইজ্যাক এবং পুলওয়ামা ঘটনার সাথে যুক্ত থাকা জঙ্গি ইউসুফ আজহার, আব্দুল মালিক রউফ ও মুদাসির আহমেদ নিকেশ হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। আর এইভাবেই সামগ্রিকভাবে অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে খতম হয় ১০০-র বেশি জঙ্গি।
আরও পড়ুন: ফিরে আসুন…! বিদেশি খেলোয়াড়দের জন্য ফরমান জারি করল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি, শীঘ্রই শুরু হবে IPL
অন্যদিকে, ওই অভিযানে ভারতের বিমান বাহিনী কীভাবে আঘাত হেনেছিল এই প্রসঙ্গে বাহাওয়ালপুরের জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংসের দৃশ্য উপস্থাপিত করেন এয়ার মার্শাল একে ভারতী। এছাড়াও, মুরিদকের জঙ্গিঘাঁটিতে হামলার পরবর্তী অবস্থাও প্রকাশ করা হয়েছে। আজকের এই বৈঠকে সেনার তরফে জানানো হয় মূলত জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবিরকেই ভারত টার্গেট করেছিল।
এছাড়াও, এদিনের বৈঠকে ডিরেক্টর জেনারেল অফ নাভাল অপারেশন এ এন প্রমোদ বলেন, “আমরা প্রত্যেক মুহূর্তেই প্রস্তুত ছিলাম। পাহেলগাঁও ঘটনার পরেই আরব সাগরের নৌসেনার তরফে একাধিক যুদ্ধ জাহাজ নামিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়াও ওই সময়ে আমরা আমাদের প্রস্তুতি দেখানোর লক্ষ্যে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছিলাম।”এর পাশাপাশি ভারতীয় নৌসেনা পরাজিত হামলার জন্য প্রস্তুত ছিল বলে জানান তিনি।
দেখুন গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও: