বাংলা হান্ট ডেস্ক : উফ একদিকে প্রচন্ড ঠান্ডা পড়েছে। যদিও রোদ্দুরের দেখা নেই কিন্তু বেশ কয়েকদিন ধরে। ঠান্ডার দাপটের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আবার শুরু হয়েছে বৃষ্টি হয়েছে। তাই ঠান্ডা যে আরও জাঁকিয়ে পড়তে চলেছে তা একপ্রকার নিশ্চিত। তবে ঠান্ডা একদিকে যেমন কষ্টকর। ঠিক তেমনি খাদ্যপ্রিয় ও খাদ্যরসিক বাঙালির কাছে যেন এক দারুন সময়। একদিকে তো সবুজ শাকসবজি প্রচুর পাওয়া যায়। তারসঙ্গে আবার পছন্দের খাবার দাবার ও জিনিসপত্র পাওয়ার মোক্ষম সময় কিন্তু এই শীতেই। শীত মানেই পিঠে পুলির সময়। আর তাই শীতের অন্যতম বিশেষ জিনিস হল খেঁজুরের গুড়।
এইসময় প্রচুর পরিমানে বাজারে খেঁজুরের গুঁড়ের আমদানি হয়।
গ্রামাঞ্চলে তো গাছ থেকে খেঁজুর রস জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরি করা হয় কিন্তু শহরাঞ্চলে তো আর সেই সুযোগ থাকে না। আর তাই ভরসা করতে হয় বাজারের ওপরে। কিন্তু এই বাজারে যে শীতে খেঁজুরে গুড়ের নাম করে কত ভেজাল মেশানো গুড় আসছে তা কিন্তু বোঝা বড্ডই মুশকিল। একটু সেন্ট ছড়িয়ে দিয়ে কিন্তু দাম দিয়ে খেঁজুরের গুড় বিক্রিক করে থাকেন অনেকেই। তা বোঝাই দায়। এরকম করে অনেকেই ঠকে গিয়েছেন। আসলে রংটা কিন্তু একেবারেই বোঝা য়ায না। তবে খেঁজুরে গুড় কিনে যাতে না ঠকেন তারজন্য তো আমরা রয়েইছি। কিভাবে ভেজাল মেশানো গুড় চিনবেন তা জেনে নিন-
. গুড় ভেঙে একটু জিভে দিয়ে চেখে দেখবেন। যদি দেখেন একটু হলেও নোনতা লাগছে বুঝতে হবে এটি খাঁটি নয়।
. গুড় কেনার সময় গুড়ের চারধারটা একটু ভেঙে দেখে নেবেন। যদি দেখেন যে সহজেই ভেঙে যাচ্ছে বুঝতে হবে সেটি আসলে আসল গুড় এবং মানও বেশ ভালো। কিন্তু সহজে না ভেঙে গেলে বুঝবেন সেটি অত্যন্ত বাজে মানের গুড়।
. গুড় তেতো মানে কিন্তু নকল গুড় নয় আসলে বিসক্ষণ জ্বাল দিলে এমন অবস্থা হয়। তবে এটি থেকে এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।
. যদি দেখেন গুড় খুবই চকচকে বুঝবেন সেটি মিস্টি করার জন্য তাতে একটু হলেও চিনি মেশানো হয়েছে। আর গুড়ের রং যদি বাদামি হয় তাহলে বুঝতে হবে তাতে রাসায়নিক মেশানো আছে।