দুই BJP কর্মীর মৃত্যুতে অগ্নিগর্ভ হাওড়া এবং শ্যামনগর! দেখা করতে যাওয়ার পথে সৌমিত্র খাঁকে বাধা পুলিশের

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ একদিকে হাওড়ার বাগনান এবং অপরদিকে শ্যামনগর অষ্টমীর রাতে হামলা চলে দুই বিজেপি (bjp-Bharatiya Janata Party) নেতার উপর। গুরুতর অবস্থায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হলে, বুধবার তাদের দুজনেরই মৃত্যু হয়। এরপর থেকেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে একদিকে বাগনান এবং অন্যদিকে শ্যামনগর। অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে থাকলেও, সবুজ শিবির তা অস্বীকার করেছে।

বিজেপি নেতাদের উপর হামলা
সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, অষ্টমীর রাতে বাগনানের বিজেপি (bjp) নেতা কিঙ্কর মাঝি বাড়ি কাছেই দলীয় কর্মীদের সঙ্গে গল্প গুজব করছিলেন। অভিযোগ উঠেছে, বিজেপির প্রভাব ওই অঞ্চলে বৃদ্ধি পাওয়ায় ঠিক সেই সময় তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডারা কিঙ্কর মাঝিকে গুলি করে চম্পট দেয়। অন্যদিকে উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগরের কাউগাছির বিজেপি নেতা মিলন হালদার অষ্টমীর রাতে ক্লাব থেকে বাড়ি ফেরার সময় তাঁর উপর তৃণমূল আশৃতদের ব্যাপক মারধরের অভিযোগ ওঠে।

xbjp hh

শুরু হয় বিক্ষোভ প্রদর্শন
বাগনান এবং শ্যামনগরের এই দুই বিজেপি (bjp) নেতাকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলে, গত বুধবার তারা মারা যান। বিজেপি নেতাদের মারা যাওয়ার ঘটনায় তীব্র ভাবে বিক্ষোভ প্রর্দশন করতে শুরু করে গেরুয়া শিবিরের সদস্যরা। এই ঘটনার প্রতিবাদে বাগনানের মনসাতলা এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে এনএইচ–১৬ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় গেরুয়া শিবিরের সদস্যরা। বনধের ডাক দেয়।

jkcf

পথেই আটকানো হয় সৌমিত্র খাঁকে
বাগনান থানার সামনে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে বিজেপি সমর্থকরা। তাদের নেতৃত্ব দেয় হাওড়া গ্রামীণের বিজেপি জেলা সভাপতি শিবশংকর বেজে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পঠে নামেন বিরাট পুলিশ বাহিনী। বাগনানের মৃত বিজেপি কর্মী কিঙ্কর মাঝির বাড়িতে যাওয়ার পথেই সৌমিত্র খাঁকে (Saumitra Khan) আটকে দেয় পুলিশ। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগের তীর থাকলেও, সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেন বাগনানের তৃণমূল বিধায়ক অরুণাভ সেন।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর