বাংলাহান্ট ডেস্ক : হাঁটুর বয়সী প্রেমিকের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক। তার পরেই টাকার জন্য ব্ল্যাকমেল। এহেন চাঞ্চল্যকর অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন সালকিয়ার মহিলা। চাপের মুখে পড়ে আত্মহত্যা করেন ওই যুবক। ঘটনায় কার্যতই তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।
জানা যাচ্ছে, হাওড়ার সালকিয়ার রসিককৃষ্ণ ব্যানার্জি লেনের বাসিন্দা ছিলেন বছর ৪৭ এর দৌলতাদেবী গুপ্তা। এলাকায় বাড়ি বাড়ি রান্নার কাজ করতেন তিনি। একটি বাড়িতে তাঁর আলাপ হয় উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দলের বাসিন্দা আকাশ দাসের সঙ্গে। ২৪ বছরের আকাশ পেশায় রঙের মিস্ত্রী ছিলেন। ওই বাড়িতে কাজ করতে এসেই সেখানেই তাঁর সঙ্গে দেখা হয় দৌলতাদেবীর। এরপর থেকেই চলতে থাকে ফোনালাপ। অচিরেই সম্পর্ক তৈরি হয় দুজনের মধ্যে।
শুক্রবার দেখা করার সিদ্ধান্ত নেন দুজন। জানা যাচ্ছে, শুক্রবার বাজল পাড়ার একটি পাঁচতলা বাড়ির ছাদে আকাশকে আসতে বলেন ওই মহিলা। প্রেমিক এলে সেই ছাদেই যৌনতায় লিপ্ত হন দুজন। কিন্তু এর পরই হঠাৎ করেই বদলে যায় দৌলতাদেবীর ‘প্রেমময়ী’ রূপ। প্রেমিককে ভয় দেখিয়ে তাঁর থেকে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন তিনি। টাকা না দিলে এই যৌনতা এবং প্রেমের কথা যুবকের পরিবারকে জানিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেন মহিলা।
এই ব্ল্যাকমেল এবং মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে দিশাহারা হয়ে পড়েন যুবক। মহিলার সামনেই দৌড়ে দিয়ে পাঁচতলা ওই বাড়ি থেকে লাফ দেন তিনি। পাশের একটা দোতলা বাড়ির ছাদে গিয়ে পড়ে যুবকের রক্তাক্ত দেহ। শব্দ শুনে ছুটে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। মালিপাঁচঘড়া থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। জানা যাচ্ছে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় যুবকের।
অবস্থা বেগতিক থেকে এলাকা ছেড়ে চম্পট দেন মহিলা। কিন্তু এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে মহিলাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জেরার মুখে নিজের সমস্ত দোষ স্বীকার করেন মহিলা। আত্মহত্যার প্ররোচনা, ব্ল্যাকমেল ইত্যাদি অপরাধে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। রবিবার অভিযুক্ত মহিলাকে তোলা হয় হাওড়া আদালতে।