বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জল ছাড়া জীবন কার্যত অচল। সকালে উঠে হাত মুখ ধোয়া থেকে শুরু করে রাতে ঘুমোতে যাওয়া, নিত্যনৈমিত্তিক জীবনের প্রায় সব কাজেই এর দরকার হয়। ফলে জল (Drinking Water) না পাওয়া গেলে সমস্যায় পড়ে সাধারণ মানুষ। রাত পোহালেই যেমন ১৮ ঘণ্টার জন্য পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ থাকতে চলেছে।
কতদিন বন্ধ থাকবে পানীয় জল (Drinking Water) সরবরাহ?
সম্প্রতি একদিন শহর কলকাতায় পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ ছিল। তাতেই ‘জল কষ্ট’ অনুভব করে ফেলেছে শহরবাসী। এবার সেই একই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে চলেছেন হাওড়া (Howrah) এলাকার বাসিন্দারা। ডিসেম্বরের ভরা শীতে একটানা ১৮ ঘণ্টার জন্য পানীয় জলের সরবরাহ বন্ধ থাকবে বলে জানা যাচ্ছে। হাওড়া পুরসভা এলাকায় পাইপ লাইনে কাজ হবে। সেই কারণেই পানীয় জলের সরবরাহ বন্ধ থাকবে বলে খবর।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে পুরসভা সূত্র উদ্ধৃত করে দাবি করা হয়ছে, পুরসভা এলাকায় বেশ কয়েকটি জায়গায় পানীয় জল (Drinking Water) সরবরাহকারী পাইপ লাইনে জরুরি ভিত্তিতে কাজ হবে। সেখানে ভালভ প্রতিস্থাপন এবং বেশ কিছু মেরামত হবে বলে খবর। সেই জন্যই ১৮ ডিসেম্বর তথা বুধবার দুপুর ১২:৩০ থেকে ১৯ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা অবধি হাওড়া পুরসভার প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে জল সরবরাহ বন্ধ রাখা হবে। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার পর থেকে পরিস্থিতি ফের স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে খবর।
আরও পড়ুনঃ বাংলার রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য বড় খবর! নববর্ষেই DA বৃদ্ধি? রইল নয়া আপডেট
পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ রাখা হলেও হাওড়াবাসীর যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেই কারণে নানান এলাকায় জলের গাড়ি পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন হাওড়া পুরসভার (Howrah Municipal Corporation) একজন অফিসার। তিনি বলেন, ‘জরুরি মেরামত ও যন্ত্র বসানোর কাজের জন্য পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ রাখতে হচ্ছে। কিন্তু নাগরিকরা যাতে পানীয় জল নিয়ে সমস্যার সম্মুখীন না হন, সেই কারণে বিকল্প হিসেবে নানান জায়গায় জলের গাড়ি পাঠানো হবে’।
এদিকে উত্তর হাওড়ার জল সংকট দূর করতে পুরসভার তরফ থেকে ২৯২ কোটি টাকা খরচ করে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট বানানো হচ্ছে। এর মাঝেই আগামী গরমে যাতে হাওড়াবাসীকে জল সংকটে না পড়তে হয়, তাই আগেভাগেই পাইল লাইনের কাজ সেরে ফেলছে পুরসভা কর্তৃপক্ষ।
এদিকে একটানা ১৮ ঘণ্টা পানীয় জল (Drinking Water) সরবরাহ বন্ধ থাকবে বলে হাওড়াবাসীও তোরজোড় শুরু করে দিয়েছেন বলে খবর। সেখানকার বহু মানুষজন এলাকার দোকানে কথা বলে রেখেছেন যাতে কেনা জল খেতে পারেন। এর পাশাপাশি নাগরিকদের যাতে জল সংকটে না পড়তে হয়, সেই জন্য নানান জায়গায় জলের গাড়ি পাঠাবে পুরসভা।