বাংলায় অবরোধের সঙ্গে যোগসাজেশ আল-কায়েদার? NIA তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টে মামলা

বাংলাহান্ট ডেস্ক : নবী নিন্দা নিয়ে সরগরম দেশ থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক মহল। এবার তার আঁচ এসে পড়ল বাংলাতেও। বৃহস্পতিবার প্রায় ১১ ঘণ্টা ধরে যান চলাচল বন্ধ হয়ে থাকল বম্বে রোডে। এমনকি, মুখ্যমন্ত্রীর বহু অনুরোধের পরেও অঙ্কুরহাটির অবরোধ চলে পাঁচ ঘণ্টা ধরে। যান চলাচল স্তব্ধ হতেই যেন বিপর্যয় নেমে এসেছিল নাগরিক জীবনে। এবার সেই ঘটনার সঙ্গে জঙ্গি গোষ্ঠী আল-কায়েদার যোগের প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুলেই হাইকোর্টে মামলা দায়ের হল।

আল কায়েদার চিঠি নিয়েআইনজীবী দেবদত্ত মাঝি আবেদন জানান প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে। তার আশঙ্কা এই ঘটনার সাথে বিদেশি মদতের যোগ রয়েছে। ইতিমধ্যেই তিনি আর্জি জানিয়েছেন জাতীয় তদন্ত সংস্থা তথা এনআইএ-কে দিয়ে তদন্ত করানোর জন্য। বিচারপতির আর্জিকে মান্যতা দিয়েই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ ওই মামলা গ্রহণ করেছে।

সূত্রের খবর, পিটিশনে বলা হয়েছে, ভারতের নানাবিধ কর্মকাণ্ডের উপর প্রতিনিয়ত নজর রেখে চলেছে আল কায়েদা। একাধিক নথির মাধ্যমে প্রকাশ্যে এসেছে যে, বড়সড় চক্রান্ত চলছে দেশকে অশান্ত করে তোলার জন্য। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে শীঘ্রই এই মামলার শুনানি হবে ।

IMG 20220610 WA0000

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গতকাল সকাল থেকে হাওড়ায় অবরোধ শুরু হতেই তুলকালাম কাণ্ড চলে। দীর্ঘক্ষণ জাতীয় সড়কে অবরোধের জেরে হাজার হাজার গাড়ির লম্বা লাইন পড়ে যায়। বিকেলের পর থেকেই আরোও বাড়তে থাকে ধুলাগড়ের জ্যাম। এমনকি শেষপর্যন্ত তা দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে চলে যাসে। এরপরেই স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করতে থাকেন। তিনি বলেন, “অত্যন্ত জঘন্য কাজ করেছেন বিজেপির মুখপাত্ররা । আমিও কড়া ভাষায় প্রতিবাদ জানিয়েছি। কিন্তু এই নয় যে, রাস্তা আটকে মানুষকে দুর্ভোগে ফেলা যাবে।” যদিও তার পরেও রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে থাকে কয়েক ঘণ্টা ধরে। কুশপুতুল পুড়িয়ে, টায়ার জ্বালিয়ে বম্বে রোডে অগ্নগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়। এদিন তা নিয়ে মামলা হল হাইকোর্টে।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর