বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাস জার্নি হোক কিংবা প্লেনে করে মাঝ আকাশে উড়ে বেড়ানো- ভ্রমণ যে মাধ্যমেই হোক না কেন, ট্রেন জার্নি কিন্তু একেবারে অন্য রকম ভ্রমণের স্বাদ এনে দেয়। আর সেই কারণেই ভারতীয় রেল যাত্রীদের সুবিধার্থে প্রতিনিয়তই ট্রেনযাত্রায় নতুনত্ব আনার চেষ্টা করে। কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন রকম পরীক্ষা নিরীক্ষা ও লাইন সংস্কার করার পর অনেকগুলি ট্রেনের সর্বাধিক গতি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে একটি নির্দেশিকায় জারি করা হয়েছে বলেই সূত্রের খবর।
বলা বাহুল্য, এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গতি ছিল ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার। জানা গিয়েছে, হাওড়া-পুরী শতাব্দী এক্সপ্রেস এবং দক্ষিণ পূর্ব রেলের অধীনে চলাচলকারী খড়গপুর-ভদ্রক শাখার ৮০টি দূরপাল্লার ট্রেনের গতি সর্বোচ্চ বৃদ্ধি করে ঘন্টায় ১৩০ কিলোমিটার করা হয়েছে। এর ফলে শতাব্দী এক্সপ্রেস পুরী পৌঁছতে অনেক কম সময় নেবে। হাওড়া-পুরী শতাব্দী ছাড়াও, যেসব দূরপাল্লার ট্রেনগুলির গতি বাড়ানো হয়েছে সেগুলি হলো- ভুবনেশ্বর জনশতাব্দী, হাওড়া-যশবন্তপুর দুরন্ত, অঙ্গা, বেঙ্গালুরু-আগরতলা সুপারফাস্ট, হাওড়া-তিরুচিরাপল্লি সুপারফাস্ট, সেকেন্দ্রাবাদ-শালিমার সুপারফাস্ট, ইস্ট-কোস্ট এক্সপ্রেস ইত্যাদি।
ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয় যে, বেশ কয়েক বছর ধরে নানা রকম পরীক্ষা নিরীক্ষা এবং আরও অন্যান্য টেস্ট ও লাইনগুলি সংস্কারের পর এই সমস্ত ট্রেনগুলির গতি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে এক নির্দেশিকায় জানানো হয়। ফলে দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়েতে ওই সব ট্রেনের যাতায়াতের সময় কমে যাবে। নতুন নির্দেশিকা অনুসারে, যে সমস্ত ট্রেনের গতি বৃদ্ধি করা হয়েছে সেগুলি নতুন এলএইচবি কোচ ব্যবহার করতে চলেছে। তবে যেসব পুরোনো ট্রেনগুলি পুরনো আইসিএফ কোচ ব্যবহার করছে তাদের গতি সর্বোচ্চ ১১০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় থাকছে।
খড়গপুর-হাওড়া শাখায় আন্দুল এবং খড়গপুরের মধ্যে ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি বাড়িয়ে ইতিমধ্যেই ১৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা করা হয়েছে। রেলওয়ের দাবি যে, দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ে বিভাগে ট্রেনের গতি বাড়ানোর কাজ অনেকাংশে সম্পন্ন হয়েছে কারণ খড়গপুর-ভদ্রক শাখায় ১৭৭ কিলোমিটার রাস্তা চলাচলের জন্য ট্রেনের গতি ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।