বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বয়স একটা সংখ্যা মাত্র! একথা প্রমাণ করে দিয়েছেন ঋত্বিক রোশন (Hrithik Roshan)। বলিউডের ‘গ্রিক গড’ নামে খ্যাত এই অভিনেতার বয়স ৫০ পেরিয়েছে। কিন্তু তা দেখে সেকথা বলে সাধ্যি কার! এখনও তাঁকে দেখে ধুকপুক করে ওঠে বহু অষ্টাদশীর মন। কারোর আবার মনের ভেতর বেজে ওঠে ‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’।
ঋত্বিকের (Hrithik Roshan) ‘বং কানেকশনে’র কথা জানেন?
কমবেশি সকলে জানেন, জন্মসূত্রে পাঞ্জাবি ঋত্বিক। তবে খুব কম মানুষই জানেন, বাংলার সঙ্গে এক গভীর সম্পর্ক আছে এই অভিনেতার। তাঁর শরীরে বইছে বাংলার রক্ত। পুরো না হলেও হ্যান্ডসাম এই অভিনেতা কিন্তু অর্ধেক বাঙালি! কীভাবে? আজ রোশন পরিবারের সেই অজানা কাহিনীই তুলে ধরা হল এই প্রতিবেদনে।
মাত্র ২০ বছর বয়সে কলকাতা ছেড়ে দিল্লি পাড়ি দেন ইরা রোশন (Ira Roshan)। রাজধানীর অল ইন্ডিয়া রেডিওয় চাকরি করতেন তিনি। ইরা ছিলেন সঙ্গীতশিল্পী। সেই গানের সূত্রেই তাঁর আলাপ হয় সঙ্গীত পরিচালক রোশনলাল লাগরথের সঙ্গে। এই রোশনল্লের নাম ধার করেই বর্তমানে রোশন পদবী ব্যবহার করেন ঋত্বিকরা। এই রোশনলাল এবং ইরা হলেন ‘কোই মিল গয়া’ অভিনেতার ঠাকুরদা এবং ঠাকুমা।
রাকেশ রোশনের মা তথা ঋত্বিকের ঠাকুমা ইরা ছিলেন বাংলার মেয়ে। জন্মসূত্রে বাঙালি তিনি। অনেকেই জানেন না, রাকেশ কিন্তু ভালো বাংলা বলতে পারেন। ঋত্বিক (Hrithik Roshan) তা না পারলেও বাঙালি খাবার অন্ত প্রাণ তিনি! রসগোল্লা, মিষ্টি দই বলতে একেবারে অজ্ঞান অভিনেতা!
শোনা যায়, রোশন পরিবারের ইরার কথা ছিল শেষ কথা। ঋত্বিকের ডাকনাম ‘ডুগগু’ও তাঁর ঠাকুমার দেওয়া। অভিনেতা ইরাকে ‘ঠামি’ বলে ডাকতেন। রাকেশ-জননী রান্না করতে ভীষণ ভালোবাসতেন। ঠাকুমার হাতে তৈরি মাছের নানান রকম পদ খেতে ভীষণ ভালোবাসতেন ‘ওয়ার’ নায়ক। ২০০৫ সালে প্রয়াত হন ইরা। দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে প্রায় দু’দশক। কিন্তু আজও কলকাতায় এলে তাঁর কথা মনে পড়ে যায় ঋত্বিকের।