বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘খেলা হবে’ বাংলাদেশের এই জনপ্রিয় স্লোগানটি বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য রাজনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছে। গতবছর পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে ‘খেলা হবে’ স্লোগান এর মাধ্যমে প্রচার চালিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবং এরপরেও উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব সহ একাধিক জায়গায় তারা এই স্লোগানকে হাতিয়ার করেই প্রচার চালায়। ফলে বাংলার রাজনীতিতে এর প্রভাব যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা স্পষ্ট।
বর্তমানে রাজনীতি ছাড়িয়ে সুদূর পড়াশোনার জগতেও নিজের আধিপত্য বিস্তার করল জনপ্রিয় এই স্লোগানটি। আর তা নিয়ে সরগরম পরশু থেকে শুরু হতে চলা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা ব্যবস্থা। করোনা পরবর্তী সময়ে এ বছর থেকেই সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা অনলাইন এর পরিবর্তে পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে দিতে হবে। সেই অনুসারে মাধ্যমিক পরীক্ষা সদ্য সমাপ্ত হয়েছে আর 2 রা এপ্রিল থেকে শুরু হতে চলেছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। তবে এই পরীক্ষা পড়ুয়ারা নিজেদের স্কুল থেকেই দিতে পারবে বলে ঘোষণা করেছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
তবে যা প্রধান চিন্তার কারণ উঠে এসেছে তা হলো রাজনৈতিক বিভিন্ন স্লোগান। সদ্যসমাপ্ত মাধ্যমিক পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, একাধিক পরীক্ষার্থীরা তাদের খাতায় ‘খেলা হবে’-এর মতো রাজনৈতিক স্লোগান লিখে এসেছে যা নিয়ে চিন্তিত এবং অবাক সকল পরীক্ষকরা। এই খবর সামনে আসতেই বর্তমানে কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে শিক্ষা পর্ষদ। তারা জানিয়েছে, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার খাতায় যেকোনো অশোভন ছবি কিংবা রাজনৈতিক স্লোগান দেখতে পেলেই সেই খাতা বাতিল করা হবে।
এখানেই শেষ নয়, এছাড়া আরো কিছু সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে তারা। যেমন পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে থেকে ফিরে যেতে হবে অভিভাবকদের। এছাড়াও পরীক্ষা দিনগুলিতে ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকবে বলেও জানিয়েছে শিক্ষা সংসদ। এবারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা বহুবার নানা কারণে পিছিয়েছে। জয়েন্ট পরীক্ষা এবং বালিগঞ্জ ও আসানসোল কেন্দ্রের উপনির্বাচনের থাকায় একাধিকবার দিন বদল করে শেষ পর্যন্ত 2 রা এপ্রিল থেকে 27 শে এপ্রিল পর্যন্ত সংঘটিত হতে চলেছে পরীক্ষা। করোনা পরবর্তী সময়ে যাতে পরীক্ষা শান্তিতে হয় এবং পরীক্ষার্থীরা যাতে কোনো অসাধু উপায় গ্রহণ করতে না পারে, তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।