বাংলাহান্ট ডেস্ক : সোনা সবসময়ই মূল্যবান। আর সেই কারণেই বিশ্বজুড়ে সোনার কদরও রয়েছে। বলা বাহুল্য, যে দেশ যত বেশি সোনা মজুত করতে পারে, তার অর্থনৈতিক শক্তি তত বেশি হয়। অর্থনীতিতে যেহেতু সোনার গুরুত্ব অনেক, তাই বিশ্বের প্রতিটা দেশই ভবিষ্যতে আরও বেশি সোনা সংরক্ষণের (Gold Reserve) জন্য নজর দেয়। ফলে, আচমকাই সোনার খনির হদিস মিললে তা যেন অনেকটা হাতে চাঁদ পাওয়ার মত বিষয়।
সোনার ভান্ডারের (Gold Reserve) নয়া হদিস
কিছু মাস আগে বিশ্বের বৃহত্তম সোনার খনি আবিষ্কারের দাবি করে চিন। এবার ফের ভারতের এই প্রতিবেশী রাষ্ট্র সোনার খনির হদিস পেল। এমনিতেই বিশ্ব অর্থনীতিতে চিনের অবদান গত কয়েক দশকে চোখে পড়ার মতো বৃদ্ধি পেয়েছে। এই আবহেই যদি একের পর এক সোনার খনি আবিষ্কার হয় তাহলে বদলে যেতে চলেছে চিনের অর্থনীতির রূপরেখা।
আরোও পড়ুন : একী কাণ্ড! ভারতের নির্বাচনে কোটি কোটি টাকা খরচ আমেরিকার, তথ্য সামনে আসতেই দেশজুড়ে শুরু হইচই
যেকোনও দেশের অর্থনীতিতে সোনার গুরুত্ব অপরিসীম। তবে সোনার ভান্ডার (Gold Reserve) মজুত রয়েছে সীমিত কিছু দেশের কাছেই। এইভাবে একের পর এক সোনার খনির হদিস আগামী দিনের চিনকে যে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চলেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। চিনের প্রাকৃতিক সম্পদ মন্ত্রক যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে বলা হয়েছে, চিনের গাংসু রাজ্যে ইনার মঙ্গোলিয়া এবং হেইলংজিয়াংয়ে মিলেছে সোনার খনির সন্ধান।
আরোও পড়ুন : চুপ থাকবে না ইসলামাবাদ! মোদী-ট্রাম্পের বৈঠকের পরেই গর্জে উঠল পাকিস্তান, দিল বড় হুমকি
বিশেষজ্ঞদের অনুমান, এই খনিগুলিতে মজুত থাকতে পারে প্রায় ১৬৮ টন সোনা (Gold)। ভারতীয় বাজার মূল্যে সেই সোনার দাম প্রায় দেড় লক্ষ কোটি টাকার কাছাকাছি। কয়েক মাস আগেই চিন (China) দাবি করে, তারা বিশ্বের বৃহত্তম সোনার খনির সন্ধান পেয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন, সেই খনিতে মজুত রয়েছে প্রায় ১০০০ মেট্রিক টন উন্নতমানের সোনার আকরিক।
একটি চিনা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের বৃহত্তম সোনার খনিতে মজুত থাকা সোনার বাজার মূল্য প্রায় ৮৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ৭ লক্ষ কোটিরও বেশি টাকারও বেশি। এখনো পর্যন্ত আবিষ্কৃত সোনার খনিগুলির মধ্যে এটিই বৃহত্তম সোনার খনি। কয়েক মাসের ব্যবধানে ফের চিনের সোনার খনি হদিসের দাবি আলোড়ন ফেলে দিয়েছে গোটা বিশ্বে (World)।