বাংলাহান্ট ডেস্ক : ফের একবার বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার হল কলকাতায় (Kolkata)। ইনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেটেরের (Enforcement Directorate) আধিকারিকরা বালিগঞ্জে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দিয়ে উদ্ধার করলেন কোটি টাকারও বেশি। জানা গিয়েছে, ওই ব্যবসায়ীর নাম বিক্রম শিকারিয়া। তদন্তকারী আধিকারিক টানা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন ওই ব্যবসায়ীকে। এরপর একটানা ১০ ঘন্টা তল্লাশি চালানো হয় তার বালিগঞ্জের বাড়িতে।
সেই তল্লাশির পর উদ্ধার করা হয় মোট ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। এছাড়াও কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। ইডি জানতে পেরেছে, এই ব্যবসায়ীর মাধ্যমে কয়লা পাচারের কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। এমনকি ইডি সুত্রে আরও খবর, এই ব্যবসায়ীর সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে রাজ্যের শাসক দলের দক্ষিণ কলকাতার এক নেতা ও তার ভাইয়ের। এছাড়াও তদন্তকারীরা খোঁজ চালাচ্ছে আরও এক ব্যবসায়ী মনজিৎ সিং জিত্তার।
সূত্রের খবর, বিক্রম শিখারিয়া গজরাজ গ্রুপের কর্ণধার। এই গ্রুপে মোট ৩০টি কোম্পানি নথিভুক্ত রয়েছে। তদন্তকারীদের সন্দেহ কয়লা পাচারের টাকা ঘুর পথে এসেছে এই কোম্পানিগুলিতে। ইডি কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী বেশ কিছু জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে। দুই কোম্পানি সিআরপিএফ শহরে আসে বুধবার ভোরে। এই তল্লাশি অভিযান চলছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সহায়তায়।
জানা গিয়েছে, ইডির এই অভিযান চলছে কয়লা পাচারের টাকা কোথায় গিয়েছে ও মানি ট্রেল লিংকের সূত্র ধরেই। ব্যবসায়ীকে ইতিমধ্যেই আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে আটক করা হয়েছে। সূত্রের খবর, এই ব্যবসায়ীর বাড়ির পাশেই একটি অফিস রয়েছে। সেখানেও দীর্ঘক্ষণ তদন্ত অভিযান চালিয়েছে ইডি। এমনকি তদন্তকারীরা আরও জানতে পেরেছেন, এই ব্যবসায়ীর নির্মাণ ব্যবসার পাশাপাশি আরও একাধিক ব্যবসা রয়েছে। এই ব্যক্তি ফুড চেন ও একটি ধাবার সাথেও যুক্ত।
বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ এই বিষয়ে বলেছেন, “পাথর বালি গরুর টাকা এদিক ওদিক হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন মাধ্যমে। অনেকদূর যাবে এই তদন্ত। বাংলার বাইরেও গেছে এই টাকা। এমনকি বিদেশেও এই টাকা গেছে। এই বদ রক্ত যত তাড়াতাড়ি বেরিয়ে যায় ততই ভালো সমাজের জন্য।”