চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ! কোলাঘাটে গ্রেফতার পার্থ ঘনিষ্ঠ TMC নেতার স্ত্রী

বাংলাহান্ট ডেস্ক : কোলাঘাটের তৃণমূল নেতা অতনু গুছাইতের স্ত্রী মানসী গুছাইতকে (TMC Leader Wife) গ্রেফতার করল পুলিস। ৩০ লক্ষ টাকা প্রতারণার মামলায় (Bribe Case) অভিযুক্ত হিসাবে নাম জড়িয়েছে তাঁর। হাওড়ার রানিহাটি হাইস্কুলের ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ, স্বামীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে চাকরি দেওয়ার নাম করে মানুষের কাছ থেকে টাকা আদায় করেছেন তিনি। মঙ্গলবার স্কুলে গিয়ে সেখান থেকে অভিযুক্ত ওই শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করে তমলুক থানা।

প্রায় এক বছর ধরে পলাতক কোলাঘাট পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ অতনু গুছাইত। তিনি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ বলে এলাকায় পরিচিত ছিলেন। অতনুবাবুর বিরুদ্ধেও প্রতারণার মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা করা হয়েছে। হাইকোর্টে তিনি আগাম জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু সেটিও খারিজ হয় যায়। এবার গ্রেফতার হলেন তাঁর স্ত্রী, মানসীদেবী।

স্থানীয় সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, অতনু ও মানসী গুছাইতের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে এলাকায়। দাসপুর এলাকার এক হোটেল ব্যবসায়ী প্রসেনজিৎ কুইল্যা কোলাঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করে দাবি করেন, তিনি প্রাইমারি স্কুলে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলেন ওই দম্পতি। তাই তাঁর পরিবারের চারজনের জন্য মোট ৬৫ লক্ষ টাকা দেন প্রসেনজিৎবাবু। কিন্তু একজনেরও চাকরি হয়নি। টাকা ফেরতের চাপ পড়তেই এলাকাছাড়া হন তিনি। এর পরেই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয় অতনুবাবুর বিরুদ্ধে।

প্রসেনজিৎ কুইল্যা আরও অভিযোগ করে বলেন, তিনি থানায় যাওয়ার পরে কোলাঘাট-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মফিজুল তরফদার তাঁকে খুনের হুমকিও দেন। গতকাল প্রসেনজিৎবাবু ওই উপপ্রধানের বিরুদ্ধেও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর দাবি, পলাতক অতনু গুছাইতের সঙ্গে উপপ্রধান মফিজুলেরও যোগাযোগ আছে।

অভিযুক্ত উপপ্রধানের ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বিধায়ক এবং দলের মন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী দাবি করেন, অতনু একসময় তূণমূলের কর্মাধ্যক্ষ থাকলেও এখন দলের সঙ্গে ওর কোনও যোগই নাকি নেই। উপপ্রধানের বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ার বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানান তিনি।

প্রসেনজিৎ একা নন, তমলুক থানার খারুই গ্রামের বাসিন্দা বিকাশ বেরাও চাকরি দেওয়ার নামে ৩০ লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ আনেন, অতনুবাবুর স্ত্রী মানসীদেবীর বিরুদ্ধে। স্থানীয়রা দাবি করেন, ওই দম্পতি ছিলেন পার্থর ঘনিষ্ঠ। তাই কোলাঘাট ও তমলুকের বহু মানুষ একটা চাকরির আশায় তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁরা প্রত্যেকেই টাকা দিয়ে প্রতারিত হন।

Sudipto

সম্পর্কিত খবর