বাংলাহান্ট ডেস্ক : আবারও মিলল ঘর ভর্তি টাকা। তবে, এবারে আর বাংলায় নয়, বরং বিহারে (Bihar Cash Recovery) ৷ শনিবার বিহার সরকারের (Bihar Government) এক আধিকারিকের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর পরিমাণে নগদ টাকা উদ্ধার করলেন কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা।
ভিজিল্যান্স বিভাগ (Vigilance Department) সূত্রে জানা গিয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম সঞ্জয় কুমার রাই (Sanjay Kumar Rai) ৷ বিহারের গ্রামীণ পূর্ত বিভাগের (Rural Works Department) কিষাণগঞ্জ শাখায় (Kishanganj Division) এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র (Executive Engineer) হিসাবে কর্মরত ছিলেন তিনি ৷
সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠে আসছিল। তাঁর অধীনে থাকা জুনিয়র ইঞ্জিনিয়র এবং ক্যাশিয়ারই এই অভিযোগ করেন। তারপরই সঞ্জয়ের উপর নজরদারি শুরু করা হয় ৷ ঘুষ নেওয়ার প্রমাণ হাতে আসতেই সঞ্জয়ের বাড়িতে হানা দেয় তদন্তকারী আধিকারিকরা। আর তারপরই একজন সাধারণ সরকারি আধিকারিকের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় কাঁড়ি কাঁড়ি নগদ টাকা !
এদিন সকালে পটনার 10 নম্বর ইন্দ্রপুরী রোডের বাড়িটিতে পৌঁছে যান ভিজিল্যান্স বিভাগের প্রতিনিধিরা ৷ এই বাড়িতেই পরিবার নিয়ে থাকেন সঞ্জয় ৷ তল্লাশি চলাকালীন প্রায় প্রায় 1 কোটি নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়৷ সঙ্গে আরও কিছু মূল্যবান সামগ্রী ও গুরুত্বপূর্ণ নথিও পাওয়া গিয়েছে ৷ এই ঘটনায় পর সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে আয় বহির্ভূত সম্পত্তি থাকার অভিযোগে মামলা (Disproportionate Assets Case) দায়ের করা হয়েছে সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে।
জানা যাচ্ছে, এদিনের এই অভিযানে যে এত বেশি পরিমাণে নগদ টাকা উদ্ধার করা হবে, তা আগে থেকে আঁচ করতেই পারেন নি তদন্তকারীরা। তাই পরে টাকা গোনার জন্য একটি স্বয়ংক্রিয় কাউন্টিং মেশিন নিয়ে আসা হয়।
পটনার ভিজিল্যান্স বিভাগের ডিএসপি সুজিত সাগর জানান, ঘুষ নেওয়ার ঘটনায় একা সঞ্জয় কুমার রাই নন, জড়িয়ে আছেন অসংখ্য কর্মী ও আধিকারিক ৷ তাঁদের অনেকের সঙ্গে সঞ্জয়ের যোগসাজশ রয়েছে ৷ তাঁদের সকলকেই চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে ৷ এই ঘটনায় বিহারের নানা প্রান্তে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানা যায়। অন্য একটি সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, সঞ্জয় কুমার রাইয়ের বাড়ি ছাড়াও বিহারের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে এখনও পর্যন্ত 4 কোটিরও বেশি নগদ টাকা উদ্ধার করেছে ভিজিল্যান্স বিভাগের আধিকারিকরা।