বাংলাহান্ট ডেস্ক : ফের একবার চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা। কল্যাণী এইমসে চাকরি দেওয়ার নাম করে ৭২ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠল। হরিপাল থানার পুলিশ এই প্রতারণার পর্দা ফাঁস করেছে। ঘটনায় এখনো পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে চারজনকে। প্রতারণার সাথে যুক্ত আরো কয়েকজনের সন্ধানে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ জমা পড়ে হরিপাল থানায়। তারপর তদন্তে নামে হরিপাল থানার পুলিশ। তদন্ত শুরু করতেই তদন্তকারীদের হাতে উঠে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ প্রথমে কল্যাণী থেকে গ্রেফতার করে বাপ্পা রাউৎ নামে এক ব্যক্তিকে।
আরোও পড়ুন : ১, ২ টো নয়; এখানেই রয়েছে আরোও ১৫টি শ্বেত পলাশের গাছ! একটার দাম শুনলেই মাথা ঘুরে যাবে
তারপর দুর্গাপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় দীপক দাস নামে আরও এক ব্যক্তিকে। এই দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর আরো দুজনের সন্ধান পায় পুলিশ। তমলুক ও রানাঘাট থেকে অন্য ২ অভিযুক্ত এম ডি বাসার ও সুপ্রিয় বিশ্বাসকে গ্রেফতার করা হয়।পুলিশ ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করেছে জাল নিয়োগ পত্র, নথি, দুটি মোবাইল ও একটি চার চাকার গাড়ি।
আরোও পড়ুন : স্ত্রী বিধায়ক বলে স্বামী চাকরি করবে না?’ ভোটের আগে লাভলির বরের বদলিতে ফুঁসে উঠলেন মমতা
পুলিশ জানিয়েছে, কল্যাণী এইমসের কর্মচারী পরিচয় দিয়ে অভিযুক্তরা গোটা রাজ্যে ভুয়ো চাকরিচক্র চালাত। শিবনাথ দে নামের হরিপালের এক প্রতারিতর অভিযোগ, দীপক দাস নামে ব্যক্তির সাথে তার পরিচয় হয় ২০২১ সালে এবং সে কল্যাণী এইমসের বড় অফিসার হিসাবে পরিচয় দেয়। এরপর তাকে চাকরির টোপ দেয় দীপক।
শিবনাথ দে’র আত্মীয়দের কল্যাণী এইমসে চাকরি করিয়ে দেওয়ার নাম করে অভিযুক্তরা ধাপে ধাপে ৭২ লক্ষ টাকা নেয়। এমনকি ভুয়ো পরীক্ষার মাধ্যমে দেওয়া হয় জাল নিয়োগপত্র। তারপর শিবনাথ দে বুঝতে পারেন যে তার আত্মীয়রা প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এরপর তিনি হরিপাল থানার শরণাপন্ন হন। পুলিশ জানিয়েছে, দীপক দাসকে এর আগেও চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।