বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গরু পাচার মামলায় গতকাল গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত (Anubrata Mondal) কন্যা সুকন্যা মণ্ডল (Sukanya Mondal)। সামান্য স্কুল শিক্ষিকা হয়ে পাহাড় প্রমান সম্পত্তির মালিক তিনি, কি সেই টাকার উৎস। এই নিয়েই ধন্দে ইডি (ED) অফিসাররা। অন্যদিকে, তার শিক্ষিকার চাকরি নিয়েও উঠছে হাজারো প্রশ্ন। গতকাল এই সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সুকন্যাকে। তবে একাধিক প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়ায় তদন্তে অসহযোগিতার কারণে গ্রেফতার হন তিনি।
ঠিক কি কি অভিযোগ রয়েছে কেষ্টর আদরের কন্যা সুকন্যার বিরুদ্ধে জানেন? ইডি সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত সুকন্যার নামে ব্যাঙ্কে ১৬ কোটি টাকার একটি ফিক্সড ডিপোজিটের হদিশ মিলেছে। এখানেই শেষ নয়, বীরভূমের বোলপুর বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় অনুব্রত কন্যার নামে রয়েছে বিঘার পর বিঘা জমি। যার পরিমান প্রায় ১০ বিঘা। এ ছাড়াও বোলপুরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে একাধিক জমি।
কি ভাবছেন এখানেই শেষ? একদমই নয়, বীরভূমে সুকন্যার নামে রয়েছে একটি চালকল। রয়েছে একটি সংস্থাও। অন্যদিকে, সুকন্যার স্কুলের চাকরি নিয়েও বহু প্রশ্ন। অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে চাকরি মিলেছিল তার। অনেকেই বলেন, বাবার দৌলতেই সেই চাকরি। আবার স্কুলে না গিয়ে বাড়িতে বসে বেতন নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
আবার এত স্বল্প সময়ের মধ্যে চাকরি করে এত পরিমান সম্পত্তি করা কি আদেও সম্ভব? উঠছে প্রশ্ন। তদন্তকারীদের দাবি গরু পাচারকাণ্ডের কালো টাকার সঙ্গে এই সম্পত্তির যোগ থাকতে পারে। এই নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই গতকাল তাকে ডেকে পাঠায় ইডি। তবে শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার হন তিনি। আপাতত ইডি হেফাজতে কেষ্ট কন্যা।
আজ বৃহস্পতিবার অনুব্রত কন্যাকে রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে পেশ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। আপাতত তাকে পাঁচদিনের ইডি হেফাজতে চাইতে পারেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। প্রসঙ্গত, পূর্বে একাধিকবার সুকন্যাকে একাধিকবার জেরার জন্য দিল্লি ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। কিন্তু, প্ৰতিবারই অসুস্থতার কারণ জানিয়ে হাজিরা এড়িয়ে যাচ্ছিলেন সুকন্যা।
এরপর বুধবার দুপুর ১২টার পর প্রবর্তন ভবনে ইডির অফিসে হাজিরা দিতে হাজির হন সুকন্যা। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পর কেষ্ট কন্যার কথায় অসঙ্গতি ধরা পড়েছে বলে তাকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা সংস্থা।