বাংলায় বৈদ্যুতিক এবং CNG গাড়ি কেনায় বিপুল সুবিধা! রেজিস্ট্রেশন সহ ছাড় দেওয়া হল ট্যাক্সে

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার রাজ্যবাসীদের কাছে এল এক সুখবর! ইতিমধ্যেই সরকার ঘোষণা করেছে যে, ইলেকট্রিক টু-হুইলার বা বৈদ্যুতিক গাড়ির ক্রেতাদের ক্ষেত্রে আর রেজিস্ট্রেশন ফি এবং অন্যান্য কর দিতে হবে না। শুধু তাই নয়, যারা CNG গাড়ি কেনার পরিকল্পনা করছেন তাঁদেরও একই রকম ছাড় দেওয়া হবে রাজ্যে। গত শুক্রবার এই সিদ্ধান্তের ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার।

এই প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার জানিয়েছে যে, ইলেকট্রিক অথবা CNG-কে নির্বাচন করে যেসমস্ত গ্রাহক এবার নতুন গাড়ি কিংবা টু-হুইলার কিনবেন তাঁদের রেজিস্ট্রেশন ফি এবং অন্যান্য কর দিতে হবে না। পাশাপাশি, চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, এই সুবিধাটি ২০২৪-এর ৩১ মার্চ পর্যন্ত বৈধ থাকবে।

নতুন এই ঘোষণা অনুযায়ী, যদি কেউ গত দুই মাসে এই ধরনের গাড়ি কিনে থাকেন, তবে তিনি রেজিস্ট্রেশন ফি এবং প্রদত্ত অন্যান্য ট্যাক্স ফেরতের দাবি জানাতে পারবেন না। যদিও, রাজ্য সরকার ২০২২-এর ১ এপ্রিল থেকে ২০২৪-এর ৩১ মার্চ-এর মধ্যে কত দিন ট্যাক্স দেওয়া হয়েছে তার ভিত্তিতে ট্যাক্সের বৈধতা বাড়ানোর আকারে সুবিধা দেবে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, চলতি বছরের বাজেটে রাজ্য সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতি এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে পূরণ হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই গত ২৫ মে রাজ্য সরকারের জারি করা একটি নির্দেশে বলা হয়েছে, “ব্যাটারি চালিত বৈদ্যুতিক যানবাহনে বিনিয়োগকে উৎসাহিত করার জন্য এবং কার্বন ফুটপ্রিন্ট হ্রাস করার পাশাপাশি পেট্রোল/ডিজেলের উপর নির্ভরতা কমাতে যে কোনো আর্থিক সুবিধা বা ছাড় দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করা হয়েছে।”

এদিকে, এই সিদ্ধান্তটি এমন এক সময়ে নেওয়া হয়েছে যখন রাজ্য সরকার কলকাতার কাছে হিন্দুস্তান মোটর প্ল্যান্টকে পুনর্গঠন করার পরিকল্পনা করছে। যা একসময় ভারতের জনপ্রিয় অ্যাম্বাসেডর প্রস্তুতকারী সংস্থা হিসেবে পরিগণিত হত। হিন্দুস্তান মোটরস ইলেকট্রিক গাড়ি তৈরির জন্য Peugeot-এর সাথে একটি মৌ স্বাক্ষর করেছে।

Untitled design 43 1

উল্লেখ্য যে, কয়েক দশকের পর হিন্দুস্তান মোটরসকে ২০২১ সালের শুরুর দিকে পশ্চিমবঙ্গের উত্তরপাড়ায় তার কারখানা বন্ধ করতে হয়েছিল। সেখানে ১৯৫৭ সাল থেকে অ্যাম্বাসেডর গাড়ি তৈরি করা হত। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলিতে মডেলটির চাহিদা না থাকায় এবং ক্রমবর্ধমান ঋণের মতো সমস্যার কারণে কারখানাটি বন্ধ করে দিতে হয়েছিল।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর