বাংলা হান্ট ডেস্ক: “বসন্ত এসে গেছে……!” আর বসন্ত এসে যাওয়া মানেই তার আগমন জানান দেয় পলাশ ফুল। যার জেরে আরও সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় ঋতুরাজের। এমতাবস্থায়, এই সময়টাতে আমাদের রাজ্যের পুরুলিয়া-বাঁকুড়ার রাস্তায় রীতিমতো বিছানো থাকে লাল পলাশের কার্পেট। আর সেই টানেই দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসেন পর্যটকরা। তবে, চলতি বছর সেই আকর্ষণ আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে বিরল শ্বেতপলাশ।
মূলত, আমরা সকলেই লাল পলাশ ফুল প্রত্যক্ষ করলেও শ্বেতপলাশ ফুল সম্পর্কে অনেকেই জানিনা। যদিও, এবারের বসন্তে চমক এনে দিয়েছে সেই শ্বেতপলাশই। জানা গিয়েছে, পুরুলিয়া জেলা হুড়া থানা এলাকার একটি শ্বেতপলাশের গাছই এখন উঠে এসেছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। শুধু তাই নয়, সেখানে এক ব্যক্তির লাগানো একটি শ্বেতপলাশ ফুলের গাছের কথা লাইমলাইটে আসতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় সর্বত্র।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, পুরুলিয়ার পাশাপাশি আরও দুই জেলায় এই দুষ্প্রাপ্য ফুল সকলের নজর কেড়েছে। এই প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, বীরভূমের ময়ূরেশ্বর ও নদিয়ার তেহট্টেও খোঁজ মিলেছে এই গাছের। এদিকে, পুরুলিয়ায় থাকা শ্বেতপলাশ গাছটি এক ব্যক্তির নিজস্ব বাগানে রয়েছে। মূলত, এই গাছটি অত্যন্ত বিরল এবং ঔষধিগুণে পরিপূর্ণ হওয়ায় এটির দামও অত্যন্ত বেশি।
এমতাবস্থায়, এই গাছকে ঘিরে এখন উন্মাদনা এতটাই তুঙ্গে যে কলকাতা থেকে গাছটি লিজ নিতে ৮০ লক্ষ টাকার প্রস্তাব পেয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। এমন পরিস্থিতিতে, এই গাছের গুরুত্ব বুঝতে পেরে সেটির যত্ন নিতে শুরু করেছেন গাছ মালিক। পাশাপাশি, কেউ যাতে গাছের ফুল না ছিঁড়ে ফেলে তার জন্য গাছের গায়ে লাগানো হয়েছে সাইনবোর্ড। যেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে গাছ থেকে কেউ ফুল ছিঁড়লে সেক্ষেত্রে ১০ হাজার টাকা জরিমানা হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, পুরুলিয়ার হুড়ায় গত কয়েক বছর ধরেই এই ফুল দেখা গেলেও তা যে এত মূল্যবান সেটা কেউ বুঝতে পারেন নি। ইতিমধ্যেই এই গাছের প্রসঙ্গে জানতে পেরে গাছটি পরিদর্শনে আসেন বনদফতর ও উদ্যানপালন বিভাগ। তাদের আগমনেই এই গাছটির ফুলের আসল গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে পারেন সবাই। জানা গিয়েছে, এই গাছের রয়েছে একাধিক ঔষধিগুণও। পাশাপাশি, বন্ধ্যাত্ব দূরীকরণ, যৌন শক্তিবর্ধক ওষুধও তৈরি হয় এই গাছের ফুল থেকে। এমতাবস্থায়, বনদফতর ও উদ্যানপালন বিভাগের তরফে এই গাছের যাতে সংখ্যা বৃদ্ধি ঘটে সেই বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে।