ঘনিয়ে আসছে মহাবিপদ? ভেঙে পড়ল লন্ডনের আকারের বিশাল আইসবার্গ, কি জানালেন বিজ্ঞানীরা?

বাংলা হান্ট ডেস্ক: মাঝেমধ্যেই এমন কিছু প্রাকৃতিক ঘটনা ঘটতে থাকে যা রীতিমতো বড়সড় বিপর্যয়ের আবহ তৈরি করে ফেলে। সেই রেশ বজায় রেখেই এবার তৈরি হয়েছে মহাপ্লাবনের আশঙ্কা! সম্প্রতি আন্টার্কটিকায় (Antarctica) ভেঙে পড়েছে এক বিশাল আকারের হিমশৈল (Iceberg)। শুধু তাই নয়, প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, ভেঙে পড়া ওই হিমশৈলটির আকার ছিল প্রায় বৃহত্তর লন্ডনের সমান। অর্থাৎ যা প্রায় দেড় হাজার বর্গ কিলোমিটারের মতো।

মূলত, এই বড় হিমশৈলটি ভেঙে পড়ে গত রবিবার। ব্রিটিশ আন্টার্কটিক সার্ভে (বিএএস) এই তথ্যটি সামনে এনেছে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ব্রিটেনের জাতীয় এই সংস্থাটি আন্টার্কটিকায় বিভিন্ন ধরণের গবেষণা ও একাধিক জরিপসংক্রান্ত কাজের সাথে যুক্ত রয়েছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এভাবে হিমশৈল ভেঙে পড়ার মতো ঘটনার প্রসঙ্গে একটি আশঙ্কা আগে থেকেই ছিল।

জানা গিয়েছে, প্রায় এক দশক আগেই বিজ্ঞানীরা ব্রান্ট আইস শেলফের এই হিমশৈলে বড় একটি ভাঙনের সম্পর্কে জানতে পারেন। শুধু তাই নয়, বিগত দু’বছরে হিমশৈলটিতে বড় ধরণের দু’টি ভাঙন ধরে। এমতাবস্থায়, হিমশৈল বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছেন, হিমশৈলটির ভাঙনে অবশ্য গবেষণাকেন্দ্রটির কোনোরকম ক্ষতি হয়নি।

এই প্রসঙ্গে ব্রিটিশ আন্টার্কটিক সার্ভে-র এক হিমশৈল বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডমিনিক হজসন জানিয়েছেন, হিমশৈল ভেঙে পড়ার এহেন ঘটনা প্রত্যাশিতই ছিল। কারণ, এটা ব্রান্ট আইস শেলফের স্বাভাবিক আচরণের মধ্যে পড়ে। তবে, এর সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের কোনো যোগাযোগ নেই বলেও জানান তিনি। পাশাপাশি, সবকিছুর সুরক্ষা সঠিকভাবে নিশ্চিত করতে বিজ্ঞানী ও পর্যবেক্ষণ দল অত্যন্ত তৎপরও রয়েছে। যদিও, এই ঘটনার জেরে প্রাকৃতিক দুর্ঘটনার বিষয়ে এখনই কিছু খোলসা না করলেও এর নেতিবাচক প্রভাব যে সমুদ্রস্তরে পড়তে পারে তা নিয়ে নিশ্চিত তাঁরা।

12a726d0 9cc8 11ed 9fed 70bb021dd8d2

কেন ঘটল এই ঘটনা: এই প্রসঙ্গে গবেষকরা জানিয়েছেন, এই ভাঙনের পেছনে জলবায়ু পরিবর্তনের কোনো প্রভাব নেই। বরং, প্রায় ১,৫৫০ বর্গকিলোমিটার আকারের এই হিমশৈলটি যে ভাঙবে সেই ব্যাপার তাঁদের জানা ছিল। অর্থাৎ, স্বাভাবিক প্রাকৃতিক কারণেই ওই বিশালাকার হিমশৈলটি ভেঙে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর