বাংলাহান্ট ডেস্ক : চারিদিকে নোংরা করছে পায়রা (Pigeon), তাই মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত! জার্মানির (Germany) লিমবুর্গ টাউনের বাসিন্দারা এমনই চাইছেন। চলতি মাসের শুরুর দিকে গণভোটে পায়রা মেরে ফেলার পক্ষেই ভোট দিয়েছেন তারা। তবে এলাকার সমস্ত পায়রাকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত সত্যিই গ্রহন করা হবে কিনা, সেই নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না নগর প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
এমন কোন সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি, এমন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের আগে আরো একবার বিবেচনা করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন সিটি প্রশাসনের মুখপাত্র জোহানেস লাউবাচ। এই প্রথমবার নয়। গত বছর নভেম্বর নাগাদ পায়রার সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে সিটি কাউন্সিল লিমবুর্গে বাজপাখি আনার সিদ্ধান্ত নেন। পায়রাগুলিকে বাজপাখিদের দিয়ে ঘাড় মটকে মেরে ফেলতে চেয়েছিলেন তারা।
আরোও পড়ুন : Bajaj করে দেখাল কামাল! ভারতে লঞ্চ হতে চলেছে বিশ্বের প্রথম CNG বাইক, চমকে দেবে ফিচার্স
এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে জার্মানির (Germany) প্রাণী অধিকার কর্মীরা বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন। সেই সময় অন্যায়ের প্রতিবাদে অনলাইনের স্বাক্ষর অভিযান চালিয়েছিলেন তারা। সেই কারণেই গত ৯ জুন গণভোটের আয়োজন করা হয়। তাতেই পায়রা মেরে ফেলার পক্ষেই বেশি রায় পড়ে। আগামী দু বছরের মধ্যে পায়রার সংখ্যা কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শহরের লোকজন।
আরোও পড়ুন : গলা ফাটানোর জন্য হয়ে যান তৈরি! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান, চলে এল বড় আপডেট
একথা জানান লিমবুর্গের মেয়র মারিয়াস হ্যান। বর্তমানে ওই এলাকায় প্রায় ৭০০টি পায়রা রয়েছে। বিগত কয়েক বছর ধরেই পায়রার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন এলাকার সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে লিমবুর্গের নিউমার্কেট চত্বরের ব্যবসায়ীরা। অবশেষে তারা অভিযোগও জানান প্রশাসনের কাছে। শুরু হয় পায়রার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই। তবে এবারের গণভোটের ফলাফল দেখে বিস্মিত হয়েছেন প্রাণী অধিকারকর্মীরা।
এভাবে এতগুলি পায়রাকে মেরে ফেলা মানে মৃত্যুদণ্ডের কম কিছু নয়, বলছেন তারা। এর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়েছেন প্রাণী অধিকার কর্মীরা। ইতিপূর্বে ২০১১ সালে পায়রা হত্যার মামলার রায় দিয়েছিল কাসেলের প্রশাসনিক আদালত। এত পায়রা হত্যা করলে মানুষের উপর ভালো প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছিল আদালত। তবে এবার বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন লাউবাচ।