বাংলা হান্ট ডেস্ক: মৎসপ্রেমীদের কাছে ইলিশ (Ilish) মানেই মাছের রাজা। আর বর্ষাকাল তো ইলিশেরই (Ilish) মরশুম। তাই বছরভর এই সময়ের অপেক্ষাতেই থাকেন আপামর বাঙালি। বৃষ্টির জল পেতেই ইতিমধ্য মৎস্যজীবীদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়েছে রূপালী শস্য। দাম আকাশছোঁয়া হলেও জালে একসাথে এত বেশি মাছ ধরা পড়ায় বেজায় খুশি মৎস্যজীবীরা।
বর্ষা পড়তেই বাজারে এল ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ (Ilish):
অন্যদিকে ব্যান পিরিয়ড উঠে যাওয়ার দেড় মাস পর আবার ভাল পরিমাণ ইলিশের দেখা মিলেছে দিঘায়। তবে মাছের দাম আকাশছোঁয়া হলেও, বেশি মাছ জালে ধরা পড়ায় বেজায় খুশি মৎস্যজীবীরা। কারণ তাদের দাবি, বেশি বৃষ্টি হলে জালে আরও বেশি ইলিশ উঠবে। মরশুমের শুরুর দিকে ১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল ইলিশ। তবে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে টাকার অঙ্ক।
জানা যাচ্ছে, শেষ পর্যন্ত নিলামে ওই ইলিশ মাছের দাম উঠেছে কেজি প্রতি আড়াই হাজার টাকা। প্রসঙ্গত বর্তমানে চলছে ইলিশের মরসুম। আর বাজারে শুরু হয়েছে ইলিশের আমদানি। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ কেন্দ্রীয় বাজেটে সামুদ্রিক মাছের উপর পাঁচ শতাংশ কর ছাড় ঘোষণা করেছেন।
আরও পড়ুন: অপেক্ষার অবসান! এই সরকারি কর্মীদের বেতন ও ভাতা বৃদ্ধির ঘোষণা করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার
এর ফলে ইলিশ সহ অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের দাম কমার সম্ভাবনাও দেখা দিয়েছে। আসলে কর হ্রাসের ফলে মাছের দামও অনেক কমে যাবে বলে মনে করেছেন অনেকেই। অন্যদিকে ব্যান পিরিয়ড উঠে যাওয়ার পর এশিয়ার সবচেয়ে বড় মৎস্য নিলাম কেন্দ্র দিঘা মোহনা মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে প্রায় কয়েক টনের বেশি ইলিশ উঠেছে।
যার ফলে খুশির হাওয়া মৎস্যজীবীদের মধ্যে। এবার বাজারে ইলিশ কিনতে গিয়ে আর নিরাশ হয়ে ফিরে আসতে হবে না। জানা যাচ্ছে মৎস্যজীবীদের জালে দিঘায় একদিনে মৎস্যজীবীদের জাল থেকে বাজারে এসেছে কয়েক টন ইলিশ মাছ। যার ওজন ৫০০ গ্রাম থেকে প্রায় দেড় কেজি। যা বাজারে ৭০০ থেকে ২০০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে ।