বাড়িতেই ল্যাবরেটরি, তৈরি হত হেরোইন! কাটোয়ায় পুলিশের জালে প্রাক্তন নৌসেনা কর্মী

বাংলাহান্ট ডেস্ক : জনবহুল এলাকা। রাস্তার উপরেই গড়ে উঠেছে একটা বড়সড়ো ল্যাবরেটরি। তারই পাশ দিয়ে নিত্যদিন যাতায়াত করছেন শয়ে শয়ে গ্রামবাসী। কিন্তু, কেউ টের পেলেন না কিচ্ছুটি। রীতিমতো কারখানা খুলে রমরমিয়ে চলছিল নিষিদ্ধ মাদক হেরোইন তৈরীর কারবার। আর সেই কারবারের মূল হোতা ছিলেন নৌসেনার এক প্রাক্তন কর্মী।

জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র হেরোইন তৈরি নয়, সেই নিষিদ্ধ মাদক গ্রামের নানান প্রান্ত দিয়ে পৌঁছে যেত দূর দূরান্তে। ভিন রাজ্যেও সেই হেরোইন পৌঁছে যাওয়ার খবর গোপন সূত্র মারফত কানে আসতেই তদন্তে নামেন স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) দুঁদে আধিকারিকরা। আর তারপরেই প্রাক্তন ওই নৌসেনা কর্মী গোলাম মুর্শেদ-সহ চার জনকে হাতে নাতে ধরে এসটিএফের অফিসাররা।

সূত্রের খবর, পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার প্রত্যন্ত গ্রাম রাজুয়ায় প্রাসাদোপম বাড়ি বানিয়েছিলেন গোলাম। শুক্রবার গভীর রাতে কাটোয়া থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে যৌথ অভিযান গোলামের সেই বাড়িতে চালানোর পরেই সেখান থেকে নগদ টাকাসহ প্রচুর পরিমাণে মরফিন (যা দিয়ে ল্যাবরেটরিতে হেরোইন তৈরি হত) উদ্ধার হয়। গোলাম দীর্ঘ দিন ধরেই হেরোইনের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু তাতে যথেষ্ট পরিমাণে লাভ না হওয়ায় অতিরিক্ত অর্থের জন্য ইদানিং গোলাম হেরোইন তৈরিতে দক্ষ আরোও দুজনকে ল্যাবরেটরিতে নিয়োগ করেন। এমনকি, রাজুয়া গ্রামে নিজের বাড়িতে লোক দুটিকে রাখেন বলেও জানা যায়। সেখানেই দু’জন কারিগর মরফিন থেকে হেরোইন তৈরি করতেন।

jpg 20220716 190132 0000

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ল্যাবরেটরিতে তৈরি করা হেরোইন কোথায় এবং কার কাছে বিক্রি করা হত সেই বিষয়েই জানার চেষ্টা করছেন এসটিএফ এবং রাজ্য পুলিশের আধিকারিকেরা। ধৃতদের জেরা করে কোথা থেকে হেরোইন তৈরির কারিগর আনা হয়েছিল এবং কত দিন ধরে এই ব্যবসা চলছে তাও জানতে চাইছে পুলিশ।

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর