বাংলাহান্ট ডেস্ক : এগিয়ে আসছে মাধ্যমিক পরীক্ষার (Madhyamik Pariksha) দিন। তার আগেই প্রকাশ্যে এসেছে এক গুরুত্বপূর্ণ খবর। দেখা গিয়েছে, গোটা রাজ্যেই এই বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কম। জেলার নিরিখে হিসেব করলে দেখা যাবে এবার বাঁকুড়া (Bankura) জেলায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অনেকটাই কমে গিয়েছে। এক ধাক্কায় মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসা পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় ৪৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে বাঁকুড়ায়। সংখ্যার হিসাবে যা ২২ হাজার ৯৩৯ জন।
জানা গিয়েছে, শিক্ষক সংগঠনের তরফে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা সম্পর্কে ভিন্ন ভিন্ন মতপোষন করা হলেও এই বিপুল সংখ্যক পরীক্ষার্থী কমার কারণ খুঁজতে মরিয়া জেলা শিক্ষা দফতর। পরিসংখ্যান অনুযায়ী গতবছর জেলায় মোট মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৫৩ হাজার ১৫২ জন। এবার জেলায় মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে ৩০ হাজার ২১৩ জন। ছাত্রছাত্রী উভয় ক্ষেত্রেই কমেছে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা।
সাধারণত জেলাগুলির নিরিখে গত দু-দশক ধরে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে বাঁকুড়াই থাকে মেধা তালিকার শীর্ষে। বিগত কয়েক বছর ধরেই পশ্চিমের এই জেলায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও এবারই যেন উলটপুরাণ। তাই পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমার ক্ষেত্রে বামপন্থী শিক্ষক সংগঠন এবিটিএ-র বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক অস্মিতা দাশগুপ্তর দাবি, করোনা পরিস্থিতি ও তার পরবর্তীতে স্কুলের পঠনপাঠন স্বাভাবিক ছন্দে আনার ক্ষেত্রে সরকারি উদ্যোগের খামতি পরীক্ষার্থী কমার অন্যতম কারণ।
বামেদের যুক্তিকে অগ্রাহ্য করে জেলা সভাপতি গৌতম দাস বলেন, “২০১২ সালে ভর্তির বয়স বদলই পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এক ধাক্কায় এতটা কমিয়ে দিয়েছে। পরের বছর ফের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা স্বাভাবিক জায়গায় পৌঁছবে।” এদিকে, জেলা স্কুল পরিদর্শক পীযূষকান্তি বেরা বলেন, “করোনা পরিস্থিতিতে স্কুলছুটের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া পড়ুয়াদের একটা অংশের পড়াশোনা অনিয়মিত হয়ে পড়ায় মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষায় পর্ষদ নির্ধারিত মানে পৌঁছতে পারেনি অনেকেই। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমার এটাও একটা বড় কারণ।”