বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এবার শিরোনামে রাজ্যের আরও এক সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ময়লা ফেলার ভ্যাটেই দেখা গেল মানুষের দেহাংশ। হাসপাতালের ময়লা ফেলার ভ্যাটেই দেখা গেল মানুষের মাথা-হাত-চোখ দাঁত সহ শরীরের একাধিক অংশ ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে রয়েছে। বারাসাত (Barasat) মেডিকেল কলেজের বাইরের ভ্যাট থেকে মানবদেহের একাধিক টুকরো উদ্ধার হওয়ায় বৃহস্পতিবার থেকেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়।
বারাসত (Barasat) সরকারি হাসপাতালের ভ্যাটে মানুষের দেহাংশ
গোটা ঘটনায় বারাসাত (Barasat) সরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। প্রথমে হাসপাতালে আসা রোগীদের বিষয়টি নজরে আসতে তারা ভেবেছিলেন কোন সদ্যোজাত শিশুর দেহ পড়ে আছে। কিন্তু পরে দেখা যায় একেবারে পূর্ণবয়স্ক মানুষের মৃত দেহের অংশ পড়ে রয়েছে। প্রতিদিনের মতোই এদিনও সাফাই কর্মীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভ্যাট পরিষ্কার করতে এসেছিলেন।
তবে এদিন নোংরা সরাতে গিয়ে যা চোখে পড়ল তা ভয়ংকর! এদিন সাফাই কর্মীরা দেখেন ওই ভ্যাটের মধ্যেই পড়ে আছে রক্ত, আর মানুষের দেহাংশ। উদ্ধার হয়েছে চোখের অংশ থেকে শুরু করে মাথাসহ হাত-পায়ের টুকরো। সঙ্গে সঙ্গে খবর যায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে। কিন্তু এমন ছিন্নভিন্ন দেহাংশ কিভাবে সরকারি মেডিকেল কলেজের বাইরে এল?
আরও পড়ুন: মাঝ আকাশে বিপত্তি! বিপদ বুঝেই নামানো হল প্রধানমন্ত্রীর বিমান….
তা নিয়েই তৈরি হয়েছে জল্পনা। যদিও এ প্রসঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে ওই মৃত মানুষের দেহ হাসপাতালের মেডিকেল কলেজের পড়ুয়ারা পড়াশোনার জন্য ব্যবহার করেছিলেন। পরে তা ফেলে দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট প্যাকেটে ভরেও রাখা হয়েছিল। ওই প্যাকেট বর্জ্য সংগ্রহের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু তার আগেই ওই সমস্ত দেহাংশের প্যাকেট কিভাবে ময়লা ফেলার ভ্যাটে এল? তা নিয়েই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। কার গাফিলতিতে দেহাংশের প্যাকেট ভ্যাটে এসেছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল সুপার। হাসপাতালের সাফাই বিভাগের সুপারভাইজার রনজিত মুখোপাধ্যায় আশ্বস্ত করে বলেছেন, ‘এটা কোনও বেওয়ারিশ দেহ নয়। মেডিকেল কলেজের ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার জন্য দেহ আনা হয়েছে। সেটি ওখানে ফেলে রেখেছে হয় তো মেডিক্যাল পড়ুয়ারা। এটা সরিয়ে দেওয়া হবে।’